• পচা মাছ, জঞ্জালের দুর্গন্ধে টেকা দায়, উদাসীন পঞ্চায়েত ও বাজার কমিটি
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপের চরমাজদিয়ার মাছ বাজারের আবর্জনায় প্রাণ ওষ্ঠাগত বাজার সংলগ্ন এলাকায় বসবাসকারী ২০টি পরিবারের। ওই বাজারের যাবতীয় নোংরা আবর্জনা এবং প্লাস্টিক ফেলা হয় একটি জায়গায়। বাসিন্দাদের অভিযোগ, আবর্জনার গন্ধে বাড়িতে থাকা যাচ্ছে না। বিষয়টি বারবার মৎস্য বাজার কমিটি ও স্থানীয় পঞ্চায়েতকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হচ্ছে না। ক্ষোভ বাড়ছে ওই এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে।

    নবদ্বীপ চরমাজদিয়া- চরব্রহ্মনগর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এই চরমাজদিয়া মৎস্য বাজার। পাশেই রয়েছে সব্জি বাজারও। মাছ বাজার সংলগ্ন এলাকায় চরমাজদিয়ায় প্রায় ২০টি পরিবারের বসবাস। পাশেই মাছ বাজারের একটি নোংরা ফেলার জায়গা রয়েছে। সেখানে প্রতিদিন নোংরা আবর্জনা, প্লাস্টিক এমনকী অবিক্রিত পচা মাছও ফেলা হয়। সেই নোংরা আবর্জনা ওই ডাস্টবিন উপচে রাস্তায়ও চলে আসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিদিন নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করা হচ্ছে না। ফলে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, শুধু দুর্গন্ধই নয়, সন্ধের পর থেকে বাড়ছে মশার উপদ্রবও। বিষয়টি বারবার বাজার কমিটি থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতকে জানিয়েও ফল হয়নি।

    চরমাজদিয়া মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মনা বর্মন জানান, এই মাছ বাজারে প্রায় ৪০ জন মাছ বিক্রি করেন। তাঁরা প্রতিদিন সেই আবর্জনা প্রতিদিন করান। সে জন্য একজন লোকও রাখা হয়েছে। চরমাজদিয়ার বাসিন্দা রাধেশ্যাম দেবনাথ বলেন, মাছ বাজারের পাশেই আমার বাড়ি। এই নোংরা আবর্জনার গন্ধে প্রচণ্ড অসুবিধা হয়। ওই ডাস্টবিনটা হয়তো বছরে একবার পরিষ্কার করে। এই অঞ্চলে আমরা যারা বসবাস করি তাদের খুবই সমস্যা হচ্ছে, এমনকী আমরা বাড়ির জানলা পর্যন্ত খুলতে পারি না। 

    স্থানীয় গৃহবধূ সন্ধ্যা দত্ত বলেন, আমাদের প্রচণ্ড সমস্যা হয়, বলেও তো কিছু হয় না। কিছু বললে বলে, মাছ বাজারের কাছে বাড়ি করেছেন এটা সহ্য করতে হবে। এমনকী বাড়ির সামনে শৌচাগার করেছে। তাতেও সমস্যা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দা অনুপ দেবনাথ বলেন, সার্বিকভাবে এই বিষয়ে ভাবা উচিত। প্রতিদিনই এইসব নোংরা আবর্জনা পরিষ্কার করা উচিত। এ ব্যাপারে সবার সচেতন হওয়া উচিত।

    চরমাজদিয়া বাজার ব্যবসা সমিতির সম্পাদক রতন ভৌমিক বলেন, এই বাজারে শুধু চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর পঞ্চায়েত নয়। পার্শ্ববর্তী দু’টি পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা এই বাজারে আসেন। প্রায় ১০ হাজার মানুষ প্রতিদিন বাজারে আসেন। মাছ বাজার এবং সব্জি বাজার আলাদা। আমরা পঞ্চায়েতকে জানিয়েছিলাম, সপ্তাহে একদিন করে একটি নোংরা ফেলার গাড়ি দেওয়া হোক। ওরা বলেছিলেন, পঞ্চায়েত থেকে নোংরা ফেলার গাড়ি দেওয়া হবে। আমরা তার জন্য যেটা খরচ সেটাও বহন করব বলেছিলাম। কিন্তু তার পরেও কোন সুরাহা হয়নি। চরমাজদিয়া-চরব্রহ্মনগর পঞ্চায়েতের প্রধান স্বপন দেবনাথ বলেন, কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য আলাদা করে নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। আপাতত অপচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করছি। ভবিষ্যতে আমরা পচনশীল বর্জ্য সংগ্রহ করব। তখন এই সমস্যা মিটে যাবে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)