• ঢাকের বোলে অষ্টমীর মেজাজ বেঁন্দুয়া গ্রামে
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়না: গ্রামে ঢুকতেই ভেসে আসছে ঢাকের আওয়াজ। রায়নার বেঁন্দুয়া গ্রামে যেন অষ্টমীর মেজাজ। হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন সময়। পুজোমণ্ডপে ভালো বোল তুলতে না পারলে প্রশংসা পাওয়া যাবে না। তাই রায়নার ‘ঢাকি গ্রামে’ শুরু হয়েছে মহড়া। বছরের অন্যান্য সময় কৃষ্ণপদ দাস, উত্তম দাস, গোপাল দাসরা কেউ দিনমজুর আবার কেউ টেটো চালান। কিন্তু মাঠে কাশফুল ফুটলে আর তাঁরা ঠিক থাকতে পারেন না। চিলেকোঠায় তুলে রাখা ঢাক নামিয়ে শুরু হয় মহড়া। নতুন প্রজন্মের যুবকদেরও তালিম চলে। সপ্তমীর সকালে বা নবমীর রাতে কি বোল হবে তা তাঁদের শেখানো হয়। নিজেরাও হাত ‘ঠিক’ করে নেন। গ্রামের বাসিন্দা কৃষ্ণপদ দাস বলেন, এই পেশায় তেমন আয় হয় না। পিতৃপুরুষের পেশা ছাড়তে পারি না। তাছাড়া পুজোর চারদিন ঢাক বাজাতে না পারলে মন খারাপ হয়। অন্য সময় টোটো চালাই। অভ্যাস না থাকলে বোল ভুল হয়ে যায়। পুজোর একমাস আগে থেকে মহড়া শুরু হয়ে যায়। দুপুর, সন্ধ্যায় ঢাকে কাঠি পড়ে। আগেকার দিনের ঢাকিরা বিভিন্ন ধরনের বোল তুলতে পারতেন। এখন অবশ্য অনেকেরই তা জানা নেই। পুজোর চারদিন চাররকম বোলে ঢাক বাজাতে হয়। আর এক ঢাকি গোপাল দাস বলেন, গ্রামের ঢাকিরা শ্রীরামপুর, হাওড়া বা বেলুড়ের মণ্ডপে ঢাক নিয়ে যান। শহরতলিতে যাওয়া হলে বেশি টাকা পাওয়া যায়।  
  • Link to this news (বর্তমান)