• তেহট্টে রাজ্য সড়কের ওপর চাষিদের পাট, সংকীর্ণ রাস্তায় দুর্ঘটনার শঙ্কা
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা তেহট্ট: রাজ্য সড়কের বেশ কিছু অংশজুড়ে রাখা হয়েছে পাট। আর তাতে সংকীর্ণ হয়েছে সেই সড়ক। তাই বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। এইরকম অসচেতনতার চিত্র দেখা যাচ্ছে তেহট্টের কৃষ্ণনগর করিমপুর, কিংবা তেহট্ট পলাশিপাড়া রাজ্য সড়কের বিভিন্ন অংশে। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যাপ্ত বৃষ্টির অভাবে চাষিরা জলাশয় কিংবা খাল বিলে পাট জাঁক দিতে পারেননি। তাই কৃত্রিম উপায়ে জমির চারিপাশ মাটি দিয়ে উঁচু করে সেখানে জল দিয়ে জাঁকের ব্যবস্থা করেছেন অনেক চাষি। আবার অনেকে ট্রাক্টর কিংবা লছিমনে করে জমি থেকে পাট নিয়ে গেছে জলঙ্গির ধারে। মূলত একসঙ্গে সবাই জাঁক দিতে পারছেন না। তবে জাঁক দেওয়ার ফাঁকটুকু জমির পাট নদীর পাশে কিংবা রাস্তার ধারে রাখছেন চাষিরা। 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তেহট্টের ভিটারপাড়া, ইসলামপুরে  কৃষ্ণনগর করিমপুর রাজ্য সড়কের একেবারে পাশে জলঙ্গি নদী। আর সেই নদীতে পাট জাঁক দিতে এসে পাট রাখতে হচ্ছে সড়কের ধারে। আবার আরশিগঞ্জ, মুনাকষা সহ একাধিক জায়গায় তেহট্ট পলাশিপাড়া রাজ্য সড়কেও সেই একই চিত্র কিন্তু অভিযোগ অসচেতনতার। কেননা পথচারীরা অভিযোগ করছেন, চাষিদের অবস্থা বুঝছে সাধারণ মানুষ। কিন্তু তা বলে সড়কের উপর পাট রাখা একেবারে ঠিক নয়। 

    ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যাচ্ছে, রাজ্য সড়কের বেশকিছু অংশে রাখা হয়েছে পাট। সংকীর্ণ রাস্তার কারণে আরও সমস্যা বেড়েছে। এই রাস্তায় রাতে সব জায়গায় আলোর ব্যবস্থা নেই‌। জানা গিয়েছে, ইসলামপুর, আরশিগঞ্জ, মুনাকষার কাছে একাধিক পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। কখনও ট্রাক্টর উল্টেছে, আবার কখনও বাস দুর্ঘটনার খবরও পাওয়া গেছে‌। 

    পথচারীদের মধ্যে সুপর্ণা মণ্ডল, বিশ্বজিৎ ঘোষ, পলাশ মিত্ররা বলেন, সারাদিন বাইক বড়-ছোট গাড়ি যাতায়াত করছে এই রাস্তায়। সেই জায়গায় এই রকম অসচেতন কাজের কারণে যেকোন সময় বড়সড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।

    এবিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) উত্তম ঘোষ  বলেন, প্রত্যেক থানার সাথে কথা বলে এবং চাষিদের যাতে সচেতন করা যায়, সেবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
  • Link to this news (বর্তমান)