• পরিষেবা দেখতে হাসপাতালে তৃণমূলের কর্মচারী ফেডারেশন
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, পুরুলিয়া: রাজ্যের সরকারি হাসপাতাল,  স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ঠিকমতো পরিষেবা পাচ্ছেন তো সাধারণ মানুষ? ক্ষোভ নেই তো ? তার আঁচ পেতে রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় পরিদর্শন শুরু করল তৃণমূলের কর্মচারী ফেডারেশনের স্বাস্থ্য শাখা। আরজি কর কাণ্ডের আবহে এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    তৃণমূলের কর্মচারী ফেডারেশনের স্বাস্থ্য শাখার রাজ্য সভাপতি সব্যসাচী চক্রবর্তী বলেন, আমরা একটি টিম তৈরি করে বিভিন্ন হাসপাতালে পরিদর্শন করছি। বিভিন্ন স্বাস্থ্য আধিকারিক থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি। কোথাও কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না, সেই খোঁজখবর নিচ্ছি। তা নথিভুক্ত করা হচ্ছে। কীভাবে সেই সমস্যার সমাধান সম্ভব, সেই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে। 

    ইতিমধ্যেই পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ায় পরিদর্শন করেছে দলটি। গত শুক্রবার পুরুলিয়ায় এসে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অশোক বিশ্বাসের সঙ্গেও কথা বলে গিয়েছেন তাঁরা। সিএমওএ্ইচ বলেন, ফেডারেশনের কর্মকর্তারা আমার কাছে এসেছিলেন। জেলায় কোথাও কোনও সমস্যা থাকলে তাঁরা তা আমার কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলেন। আমি তা জানিয়েছি।

    কর্মচারী ফেডারেশন সূত্রের খবর, পুরুলিয়ার বলরামপুরের বিএমওএইচকে নিয়ে বিস্তর অভিযোগ পেয়েছেন তাঁরা। বিএমওএইচ অধিকাংশ দিনই ব্লকেই থাকেন না বলে অভিযোগ। ফলে হাসপাতালেরও তেমনই অবস্থা। 

    এনিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তও করেছিলেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক। এছাড়াও ঝলদা ও রঘুনাথপুর মহকুমার দুই বিএমওএইচ-এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ পেয়েছেন ফেডারেশনের স্বাস্থ্য শাখার নেতারা। অভিযোগ, এইসব আধিকারিকের জন্য সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। নয়ছয় হচ্ছে সরকারি টাকা। সরকারের প্রতি বিরূপ মনোভাব তৈরি হচ্ছে মানুষের। তাছাড়া, জেলার বহু ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের অবস্থা বেহাল। রোগীর পরিজনদের সঙ্গে হাসপাতালের নার্সদের একাংশের ব্যবহারও প্রশ্নের মুখে।

    ফেডারেশন সূত্রের খবর, বিভিন্ন জেলা থেকে স্বাস্থ্য বিষয়ক যেসমস্ত অভিযোগ উঠছে, সেইসব অভিযোগ নথিভুক্ত করে স্বাস্থ্যভবনে জমা করা হবে। এসবের পাশাপাশি স্বাস্থ্য কর্মীদের সুবিধা অসুবিধারও খোঁজ খবর নিচ্ছে ফেডারেশন। তবে, এনিয়ে সিপিএমের জেলা নেতা শ্যামল মাহাত বলেন, আরজি কর কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীরা কী ভাবছেন, তা বুঝতেই এইসব শাখা সংগঠনগুলিকে মাঠে নামানো হচ্ছে। তবে এতে কাজ হবে না। মানুষ তৃণমূলের পাশ থেকে সরতে শুরু করেছে। আর কোনও ওষুধেই কাজ হবে না। যদিও সব্যসাচীবাবু বলেন, এর সঙ্গে আরজি করের ঘটনার কোনও যোগ নেই।
  • Link to this news (বর্তমান)