• পক্ষীনিবাসের গণ্ডি ছাড়িয়েও বাসা বাঁধছে পরিযায়ীরা, প্রথমবার কুলিকে মিলল গ্লসি আইবিস
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: প্রথম দিনেই জোড়া সুখবর। এই প্রথম কুলিক পক্ষীনিবাসে দেখা মিলল গ্লসি আইবিসের। একই সঙ্গে এদিন গণনার পর বনদপ্তর লক্ষ্য করেছে পরিযায়ীরা কুলীকের গণ্ডী ছাড়িয়ে বাইরেও বাসা বাঁধছে। ফলে এবার রেকর্ড সংখ্যক পরিযায়ী পাখি আসার সম্ভাবনা বাড়ল। 

    ফি বছরের মতো এবারও পক্ষীনিবাসের গাছগুলিতে ব্যাপক হারে ওপেন বিল স্টর্ক, নাইট হেরন, লিটল কর্মর‌্যান্ট, ইগ্রেটসের মতো পরিযায়ী পাখিদের দেখা মিলছে। বন দপ্তরের দাবি, পরিযায়ীরা পক্ষীনিবাসের সীমা অতিক্রম করে ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ছে চারপাশের জলাভূমি লাগোয়া এলাকায়। প্রথম দিন গণনাপর্বের পর সার্বিক সমস্ত বিষয় নিয়ে বেজায় উচ্ছ্বসিত রায়গঞ্জ ডিভিশনের বন আধিকারিক থেকে শুরু করে পরিবেশপ্রেমী সংগঠনগুলি।

    ডিএফও ভূপেন বিশ্বকর্মার দাবি, গতবারের তুলনায় এবার পাখির সংখ্যা বৃদ্ধির আশা নিয়েই গণনা পর্ব শুরু হয়েছে। কিন্তু এ ব্যাপারে নিশ্চিত হতে গণনা সম্পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, এবারই প্রথম কুলিক পক্ষীনিবাসে দেখা মিলল গ্লসি আইবিস নামে নতুন প্রজাতির ভিনদেশি পাখির। কোথা এসেছে অজানা হলেও আমাদের অনুমান, ধীরে ধীরে নতুন এই প্রজাতির পাখির সংখ্যা বাড়বে। আমরা বিভিন্নভাবে বিশ্লেষণ করে দেখছি। এছাড়া অন্যান্য পরিযায়ী পাখি তো রয়েছেই।

    রবিবার সকাল সাতটা থেকে রায়গঞ্জের ডিএফও ভূপেন বিশ্বকর্মার নেতৃত্বে শুরু হয় পাখি গণনা। চলে দুপুর পর্যন্ত। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এডিএফও সরোজ ভুজেল, কুলিক পক্ষীনিবাসের রেঞ্জার মধুমিতা পাত্র। বিভিন্ন সংগঠন ও স্কুল পড়ুয়া মিলে অন্তত ৭০ জন এই প্রক্রিয়ায় অংশ নেন। ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে দিনভর চলল পক্ষী অভয়ারণ্যের জারুল, বট, শেওড়া, বাঁশ সহ বিভিন্ন গাছে পাখির বাসার হিসেব করার কাজ। প্রত্যেক গাছে কতগুলি বাসা রয়েছে, তার ভিত্তিতে চলে পাখির সংখ্যা হিসেবের কাজ। আজ, সোমবার পক্ষীনিবাসের বাইরের অংশে গাছপালায় পরিযায়ী পাখি গণনার কাজ হবে। 

    পক্ষীনিবাসের বাইরে দেবীনগর, শহরে রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসের আশপাশের গাছ, দেহশ্রী মোড়, এলআইসি মোড় সহ বাহিন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার কিছু গাছে বছরের নির্দিষ্ট সময় বাসা করে থাকছে পরিযায়ীর দল। এর অর্থ পাখি বসবাস যোগ্য অনুকূল পরিবেশ রয়েছে এখানে।

    গত বছর কুলিকে পরিযায়ীর সংখ্যা কমে যাওয়ায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন অনেকে। কিন্তু প্রথম দিনের গণনার পর সেই ভয় অনেকটাই কমেছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা। ( গ্লসি আইবিস। - নিজস্ব চিত্র।)
  • Link to this news (বর্তমান)