• শহরে দাপাচ্ছে নম্বরহীন টোটো, পুজোর আগে ধরপাকড়ে দোলাচল
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: শহরে এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে নম্বরহীন বহু টোটো। ফলে ব্যস্ততম রাস্তায় রয়েই গিয়েছে যানজট। পথচারীদের অভিযোগ, কোনও একটি জায়গায় দাঁড়িয়ে যদি দশটি টোটো চিহ্নিত করা যায়, তাহলে দেখা যাচ্ছে ছ’টি টোটোর নম্বরপ্লেট নেই। অভিযোগ, পুলিস কড়াকড়ি শুরু করায় চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে শহরে টোটোর সংখ্যা কমেছিল। কিন্তু, কয়েকদিন ধরে পুলিসি কড়াকড়ি না থাকায় জলপাইগুড়ি শহরে ফের টোটোর সংখ্যা বেড়েছে। অনুমতি না থাকলেও চারটি বাদে অন্য পঞ্চায়েত এলাকার টোটোগুলি শহরে ঢুকে পড়ছে। বড় রাস্তায় পুলিসের নজরদারি চলায় গলিপথ দিয়ে শহরে ঢুকছে গ্রামের টোটো। এদিকে, পুজোর আগে বেআইনি টোটোর ধরপাকড় নিয়ে দোলাচল তৈরি হয়েছে। পুলিসের দাবি, পুরসভা বললেই তারা ধরপাকড় শুরু করবে। পাল্টা পুরসভা বলছে, শাটল পদ্ধতি এবং ওয়ানওয়ে করে শহরে টোটোর চাপ কতটা কমানো যায়, তা দেখা হচ্ছে। এই ব্যাপারে জলপাইগুড়ি সদরের ট্রাফিক আইসি অমিতাভ দাস বলেছেন, পুরসভা রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করে আমাদের জানালেই বেআইনি টোটো ধরপাকড় শুরু হবে। বাজেয়াপ্ত টোটো রাখার জন্য জায়গা ঘিরে ফেলা হয়েছে। আমরা টোটো ধরে পুরসভাকে দিয়ে দেব। তারা জরিমানা করবে। এব্যাপারে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জলপাইগুড়ি টাউন ব্লক সভাপতি পুণ্যব্রত মিত্র বলছেন, রুজি-রুটির বিষয়। সেকারণে পুজোর আগে টোটোর ধরপাকড় নিয়ে পুরসভাকে আমরা কিছুটা শিথিল অবস্থান নিতে বলেছি। শহর লাগোয়া সমস্ত পঞ্চায়েতের টোটোর এবং পুরনো টোটোর রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত জটিলতা মেটাতে বলা হয়েছে।

    পুরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, পাঁচ হাজার টোটোকে রেজিস্ট্রেশনের আওতায় আনা হয়েছে। ফের বৈঠক করে শহরে চলা বাকি টোটো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শহর লাগোয়া চারটি পঞ্চায়েতের টোটোর সরাসরি শহরে আসতে বাধা নেই। অন্য পঞ্চায়েতের টোটোর জন্য শাটল পদ্ধতি চালু হচ্ছে। তারা টোটো নিয়ে শহরে ঢোকার এন্ট্রি পয়েন্ট পর্যন্ত আসবে। তারপর সেখান থেকে শহরের টোটো যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছে দেবে। পাশাপাশি কয়েকটি রাস্তা টোটোর জন্য ওয়ানওয়ে করার চিন্তাভাবনা চলছে। -নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)