• নির্দেশিকার দেড় মাস পরও কাজে যোগ দেননি একাধিক চিকিৎসক
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: নির্দেশিকা জারির দেড় মাস পরও ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে যোগ দেননি ইএনটি চিকিৎসক। শুধু তাই নয়, মহিলা ও প্রসূতি বিভাগে তিন চিকিৎসকের যোগ দেওয়ার কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত কাজে যোগ দিয়েছেন মাত্র একজন। ৩১ জুলাই জারি হওয়া স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যোগ দেবেন দু’জন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত একজন যোগ দিয়েছেন। অ্যানাস্থেটিস্ট দু’জন পাওয়ার কথা থাকলেও কাজে যোগ দিয়েছেন মাত্র একজন। 

    জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে খবর, কোনও চিকিৎসক মাতৃত্বকালীন ছুটিতে, কোনও চিকিৎসককে আবার জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অধীন সদর হাসপাতাল থেকে এখনও রিলিজ করা হয়নি। তবে কয়েকজন চিকিৎসক স্বাস্থ্যদপ্তরের নির্দেশিকার পরও কেন তাঁরা ধূপগুড়ি হাসপাতালে যোগ দিচ্ছেন না, জানেন না জেলার স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। 

    ধূপগুড়ি ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ অঙ্কুর চক্রবর্তী বলেন, অনেক চিকিৎসক এখনও কাজে যোগ দেননি। বিষয়টি জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরকে জানানো হয়েছে। তাছাড়া অপারেশন থিয়েটার ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জামের অভাবে এখনও পর্যন্ত সিজারিয়ান ডেলিভারি সম্ভব হচ্ছে না। অন্যান্য বিভাগেও সরঞ্জামের অভাব রয়েছে। সবটাই জানানো হয়েছে উপরমহলে। 

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, একমাত্র মেডিসিন বিভাগে দু’জন চিকিৎসকের যোগ দেওয়ার কথা ছিল। তাঁরা দু’জনই যোগ দিয়েছেন। ফলে আউটডোর ভালোভাবে করা যাচ্ছে। কিন্তু, বাকি বিভাগগুলি কার্যত খুঁড়িয়ে চলছে। ইএনটি কোনও চিকিৎসক না থাকায় ফিরে যেতে হচ্ছে রোগীদের। অভিযোগ, কয়েকটি বিভাগে কিছু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যোগ দিলেও উন্নত ল্যাবরেটরি ও অপারেশন থিয়েটার না থাকায় তাঁরা ঠিকমতো কাজ করতে পারছেন না। হাসপাতালের নতুন ভবনের জন্য মাপজোখ হলেও তারপর আর এগয়নি। 

    ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বীকার করে নিয়েছেন, পোর্টেবল এক্স রে, ইসিজি ও কিছু রক্ত পরীক্ষা ছাড়া এখনও পর্যন্ত ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতাল থেকে তেমন জটিল কোনও পরীক্ষানিরীক্ষার সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে না। অপারেশন থিয়েটার খুবই দরকার। সঙ্গে চতুর্থ শ্রেণির কর্মী ও সাফাইকর্মী প্রয়োজন। 

    ধূপগুড়ির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নির্মলচন্দ্র রায় বলেন, এখনও কিছু চিকিৎসক হাসপাতালে কাজে যোগ দেননি। স্বাস্থ্যদপ্তরের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি, সব চিকিৎসক দ্রুত যোগ দেবেন। নতুন ভবনের বিষয়ে মাপজোখ হয়েছে। রাজ্যে বিষয়টি নিয়ে তদ্বির করব।
  • Link to this news (বর্তমান)