• মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে প্রতিবছরই মায়ের হাত থেকে পড়ে যায় অস্ত্র, গাড়ুই গ্রামে পুজো হয় ১৫ দিনের
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সুমন তেওয়ারি, আসানসোল: শিল্পাঞ্চলে সবার আগে পুজোর গন্ধ আসে গাড়ুই থেকে। আসানসোল শিল্পাঞ্চল গড়ে ওঠার বহু আগে থেকেই কয়েক শতাব্দী প্রাচীন গাড়ুই গ্রামের অস্তিত্ব ছিল। গ্রামের ৫০০ বছরের বেশি পুরনো বিষ্ণুমন্দির সেই প্রাচীনত্বের প্রমাণ বহল করে। এখন গ্রামটি আসানসোল পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। সেই গ্রামেই বোধনের দিন থেকে শুরু হয়ে যায় দুর্গাপুজো। তার প্রস্তুতি চলছে জোরকদমে। হাতে মাত্র ক’টা দিন, তারপরই পুজো শুরু। কচিকাঁচারা এখন থেকেই মেতে উঠেছে পুজোর আনন্দে। বাড়ির বড়রাও পুজোর প্রস্তুতি সেরে রেখেছেন। 

    গ্রাম সূত্রে জানা গিয়েছে, আদি দুর্গামন্দিরের পুজো পারিবারিক হলেও তা এখন সর্বজনীন রূপ নিয়েছে। এই পুজোর নানা বিশেষত্ব। মায়ের বোধনের দিন থেকেই এই মন্দিরে দুর্গাপুজো শুরু হয়। পুকুর থেকে জল এনে ঠাকুর দালানে ঘট প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু হয়। সপ্তমী থেকে শুরু হয় প্রতিমা পুজোও। 

    মন্দিরে অষ্টধাতুর মা দুর্গার মূর্তি রয়েছে। বছরের প্রতিদিন দেবীর নিত্যপুজো হয়। পুরোহিত বিপদতারণ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কয়েকশো  বছরের পুরনো এই দুর্গাপুজো। আগে পুজো অন্যত্র হতো। পরে রাস্তার উপর একজন জমি দান করলে সেখানে মন্দির গড়ে ওঠে। পরবর্তীকালে এডিডিএর পক্ষ থেকে শেড করে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, মা অত্যন্ত জাগ্রত। তাঁর যে প্রাণ রয়েছে, অষ্টমীর সন্ধিক্ষণে তার প্রমাণ মেলে। দূর দূরান্ত থেকে মানুষ মায়ের কাছে মনের নানা ইচ্ছে নিয়ে আসেন। তাঁদের মনের ইচ্ছে মা পূরণ করেন। গ্রামের বাসিন্দা দেবাশিস মুখোপাধ্যায় বলেন, আমরা বেশ ভাগ্যবান, মাকে আমরা ১৫ দিন ধরে পুজো করতে পারি। তার জন্য আমাদের কাছে দুর্গোৎসব চার দিনের নয়, ১৫ দিনের। 

    কয়েকদিন পরে‌ই মায়ের বোধন। বাড়িতে বাড়িতে পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মন্দিরের আরেক পূজারী ধীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, সন্ধিক্ষণে প্রতিবার মায়ের হাত থেকে অস্ত্র পড়ে। প্রতিবার এই ঘটনা ঘটে। এবারও অন্য বারের মতো মহা সমারোহে পুজো হবে।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)