• রায়চৌধুরীদের দুর্গাপুজো দেখতে এসেছিলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সত্যজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, বারুইপুর: ৩০০ বছরেরও বেশি বয়স হল বারুইপুরের রায়চৌধুরী পরিবারের দুর্গা পুজোর। বারুইপুরের ম্যাজিস্ট্রেট থাকাকালীন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এ বাড়ির পুজো দেখতে এসেছিলেন বলে দাবি রায়চৌধুরীদের। ঐতিহ্য মেনে এ বছরও বিসর্জনের দিন নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে তারা। এই পরিবারের রাজবল্লভ রায়চৌধুরী দুর্গার পুজো শুরু করেছিলেন। বারুইপুরের রাসমাঠে পুজো আরম্ভ হয়। পরিবারের অনেক সদস্য দেশ-বিদেশে থাকেন। তাঁরা সবাই একত্র হন পুজোর সময়। বারুইপুরের বাসিন্দারাও ভিড় করে আসেন। দর্শনার্থীরা ঠাকুর দর্শন করেন তারপর পুজোর ভোগ খান। এই পরিবারের অমিয়কৃষ্ণ রায়চৌধুরী বলেন, জমিদারি চলে গেলেও নিয়ম রীতি একই আছে। মহালয়ার পরের দিন প্রতিপদ থেকে পুজো শুরু হয় দুর্গাদালানে। তিনজন ব্রাম্ভণ চণ্ডীপাঠ করেন। দু’মন চালের নৈবেদ্য হয়। সপ্তমী থেকে নবমী ছাগ বলি দেওয়ার প্রথা। এরপর আখ ও কুমড়ো বলিও দেওয়া হয়। দশমীতে পরিবারের মহিলারা সিঁদুর খেলেন। তা দেখতে ভিড় জমে। তারপর ৪০ বাহক কাঁধে করে প্রতিমা নিয়ে যান সদাব্রত ঘাটে। রুপোর পাখা-চামর দুলিয়ে, ছাতায় ঢেকে দুর্গাকে নিয়ে যাওয়া হয়। আর কৈলাসে শিবের কাছে মায়ের আসার বার্তা দিতে নীলকন্ঠ পাখি ওড়ান বাড়ির সদস্যরা।  দুর্গা দালান সংস্কারের কাজ চলছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)