• কালীঘাটে যাওয়ার আগেই তর্কাতর্কি লাইভ স্ট্রিমিং ঘিরে
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠক শনিবার একেবারে শেষ মুহূর্তে ভেস্তে যায়। এর জন্য আন্দোলনকারীদের একাংশ সরকারের সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করছে। কিন্তু সরাসরি সম্প্রচার বা লাইভ স্ট্রিমিংয়ের অজুহাতে আলোচনা ভেস্তে দেওয়ার আগাম পরিকল্পনা সামনে চলে এসেছে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের কথোপকথনেই। কালীঘাটে যাওয়ার আগে আন্দোলনকারীরা নিজেদের মধ্যে যে বৈঠক (জিবি) করেছিলেন, তার কিছু অংশ রবিবার ‘অডিও’ আকারে সামনে এসেছে। তাতেই স্পষ্ট হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের লাইভ সম্প্রচার নিয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যেই প্রবল মতানৈক্য। একাংশ চাইছে রাজ্য সরকারের সদিচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে দ্রুত কাজে যোগ দিতে। অন্য অংশের মত, যেভাবেই হোক জিইয়ে রাখতে হবে আন্দোলন। 

    রবিবার একটি অডিও প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে যাওয়ার আগে আন্দোলনকারীদের মধ্যে কী কথাবার্তা হয়েছিল, তা ধরে পড়েছে ওই অডিওতে। যদিও এটির সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’। অডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘লাইভের জন্য পুরো জিনিসটা আটকে দেব, এটা হতে পারে না।’ অর্থাৎ, আন্দোলনকারীদের একাংশ বৈঠকের লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবি থেকে কিছুতেই সরে আসতে চায়নি। এই সূত্রে কুণাল ঘোষের দাবি, আন্দোলনকারীরা নিজেদের মধ্যে যে আলোচনা করছেন, তারও সরাসরি সম্প্রচার হোক। তাহলেই স্পষ্ট হয়ে যাবে, ওঁদের মধ্যে কী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সর্বোচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ নিয়ে অডিওতে একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘১৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট আমাদের বিরুদ্ধে একটা অ্যাকশন নিতে পারে। সুপ্রিম কোর্ট আমাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করলে সাধারণ মানুষ পাশে থাকবে তো?’ আরেকজন বলছেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধর্নামঞ্চে এসেছেন। তারপরও জায়গা থেকে নড়ব না, এটা হতে পারে না। যতগুলি ছেলের শাস্তি হবে, সবার দায়িত্ব তোকে নিতে হবে।’ অডিওর সত্যতা স্বীকার করে নিয়েছেন আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাত। যদিও তিনি বলেন, ‘সরকার ডাকলে আবার আমরা আলোচনায় যেতে রাজি আছি।’ ভাইরাল অডিও ক্লিপ

    প্রথম জন: ১৭ তারিখ সুপ্রিম কোর্ট আমাদের বিরুদ্ধে একটা অ্যাকশন নিতে পারে, এটা নিয়ে আমরা ভাবছি। কোর্ট বলেছে, তোমরা কাজে ফেরো। কাজে না ফিরলে রাজ্য যা পদক্ষে করতে চায়, নিতে পারে। 

    দ্বিতীয় জন: যতগুলো ছেলের শাস্তি হবে, সব দায়িত্ব তোকে নিতে হবে।

    প্রথম জন: কেন নিতে হবে?

    দ্বিতীয় জন: কেন নিতে হবে না! তুই তো আলোচনা জায়গাটা বেঁধে (আটকে) রেখেছিস। 

    তৃতীয় জন: চিকিৎসা, এটা আমাদের মরাল (নৈতিক) পেশা। লাইভ টেলিকাস্টের জন্য পুরো জিনিসটা আটকে

    দেব, এটা হতে পারে না। ভিডিওগ্রাফির জন্য আটকাতে পারে না। দু’দিন আগে আটকালাম কেন? আজ 

    মুখ্যমন্ত্রী এসে ঘুরে গিয়েছেন! তারপরও ...
  • Link to this news (বর্তমান)