• জমা জলের ভোগান্তির সঙ্গে যত্রতত্র আবর্জনার স্তূপ, নাজেহাল পানিহাটি
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: জমা জলের যন্ত্রণা তো আছেই। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আবর্জনার সমস্যা। দিনের পর দিন জমে থাকা আবর্জনা থেকে আসা দুর্গন্ধে নাভিশ্বাস উঠছে শহরবাসীর। স্তূপাকৃতি আবর্জনার উপর বৃষ্টির জল পড়ায় এলাকাগুলি যেন নরককুণ্ডের রূপ নিয়েছে। নাকে-মুখে রুমাল চাপা দিয়ে কোনওরকমে যাতায়াত করছেন পথচারীরা। পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে উঠেছে কারণ, জলমগ্ন বহু জায়গা থেকে দৈনন্দিন আবর্জনা সংগ্রহ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। ফলে কোনও কোনও জায়গায় আবর্জনার পাহাড় জমছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, টেন্ডার সংক্রান্ত সমস্যার জেরে কেএমডিএ নিযুক্ত সংস্থা বেশ কিছু দিন ধরে নিয়মিত আবর্জনা সংগ্রহ করছে না। তাছাড়া গাড়ি এলেও তা সংখ্যায় পর্যাপ্ত না হওয়ায় অর্ধেক আবর্জনা নিয়েই যেতে পারছে না। পুরকর্তাদের দাবি, সাময়িক সমস্যা তৈরি হয়েছে। দ্রুত মিটে যাবে।

    চলতি বছরের গোড়া থেকেই পানিহাটির পুর পরিষেবা নিয়ে চরম ডামাডোল শুরু হয়। গত ৫ জানুয়ারি থেকে শহরের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুর ডাম্পিং গ্রাউন্ডে আবর্জনা ফেলা আটকে দিয়েছেন স্থানীয়রা। তাঁদের দাবি, শহরের ভিতর থেকে ওই ভাগাড় অন্যত্র সরাতে হবে। তখন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে কেএমডিএ। ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে পানিহাটি পুরসভার আবর্জনা বোঝাই ডাম্পার ধাপায় নিয়ে যাওয়া শুরু হয়। প্রথম দিকে সাত-আটটি গাড়ি থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৮টি করা হয়েছিল। ফলে আবজর্নার স্তূপ কমতে শুরু করে। পরিস্থিতিক কিছুটা হলেও উন্নতি হয়। কিন্তু কয়েকদিন পর আবর্জনা সংগ্রহের কাজ ফের থমকে যায়। ফিরে আসে আগের দমবন্ধ পরিস্থিতি। এরপর টেন্ডার সম্পন্ন করে একটি সংস্থাকে ওই কাজের দায়িত্ব দেয় কেএমডিএ। ওই সংস্থার কাজের মেয়াদও শেষ হয়েছে। সূত্রের খবর, নতুন করে টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। নতুন সংস্থা কাজে ঢোকার আগে আগের সংস্থাকেই ‘এক্সটেনশনে’ রাখা হয়েছে। কিন্তু ওই সংস্থা নানা অজুহাতে কয়েক সপ্তাহ ধরে সঠিকভাবে আবর্জনা সংগ্রহ করছে না বলে অভিযোগ। কোনওদিন গাড়ি আসছে না। কোনও কোনও দিন আবার মাত্র দু’-চারটি গাড়ি আসছে। ফলে শহরের মোট জঞ্জালের সিকিভাগও সংগৃহীত হচ্ছে না। অমরাবতী মাঠে আবর্জনার স্তূপ বাড়তে বাড়তে যেন পাহাড়ের চেহারা নিয়েছে। রাজা রোড, নীলগঞ্জ, রোড, বারাসত রোড, এমনকী বি টি রোডের পাশে উপচে পড়েছে আবর্জনা। পানিহাটি পুরসভার সিআইসি সোমনাথ দে বলেন, ‘কেএমডিএর নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়া চলছে। তাই মাঝখানে কয়েকদিন একটু সমস্যা হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় আবর্জনা জমে রয়েছে। বিভিন্ন স্তরে আমরা কথা বলেছি। দু’-একদিনের মধ্যে সমস্যা মিটে যাবে।’ - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)