• মরণফাঁদ বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে, দেড় বছরে মৃত ২০ জনেরও বেশি
    বর্তমান | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: চালকদের মরণফাঁদ হয়ে উঠছে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ে। প্রায় ওই রাস্তায় যেভাবে দুর্ঘটনায় প্রাণহানি হচ্ছে, তাতে চিন্তা বাড়ছে পুলিসের। গত দেড় বছরে এই রাজ্য সড়কে ৪০টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। তাতে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনেরও বেশি মানুষের। গুরুতর জখম হয়েছেন ৫০-এর বেশি। পরিবহণ মন্ত্রকের ইন্টিগ্রেটেড রোড অ্যাক্সিডেন্ট ডেটাবেস পোর্টাল সূত্রে এই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। দুর্ঘটনা ঠেকাতে পুলিসের পক্ষ থেকে নিয়মিত চালকদের সতর্ক করা হচ্ছে। চলছে কড়া নজরদারিও। কিন্তু তারপরও বেপরোয়া গতি এবং অসাবধানতাই ডেকে আনছে বিপদ। এমনই মনে করছেন পুলিসের পদস্থ কর্তারা। 

    ট্রাফিক পুলিসের দাবি, এই রাজ্য সড়কের বেশ কিছু জায়গায় বাঁক রয়েছে। দুই দিক দিয়ে দ্রুতগতিতে যাওয়ার সময় এই বাঁকগুলিতেই মুখোমুখি সংঘর্ষ হচ্ছে বাইক ও অন্য গাড়ির। আর তা না হলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশে নয়ানজুলি বা অন্য কোনও গাড়ির পিছনে ধাক্কা দিচ্ছেন চালক। বিগত কয়েক মাসে এই ধরনের বেশ কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়ের একটা বড় অংশের (দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার অন্তর্গত) দায়িত্ব চলে আসে কলকাতা পুলিসের অধীনে। গত বছর পর্যন্ত বারুইপুর পুলিস জেলা ভাঙড়ের অংশটুকু দেখভাল করতো। সেই বছর এই রাজ্য সড়কে ২৫টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তাতে মৃত্যু হয়েছিল অন্তত ১১ জনের। আহতের সংখ্যা ছিল ৪০-এর কাছাকাছি। কিন্তু এবছর জুলাই পর্যন্ত ১৬টি দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। সেগুলি সরকারি পোর্টালে নথিভুক্ত হয়েছে। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে  মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের এবং ১৫ জনের বেশি আহত হয়েছেন।

    কলকাতা পুলিস দায়িত্বে নেওয়ার পর থেকে পথ সুরক্ষা নিয়ে লাগাতার প্রচার কর্মসূচি নিয়ে চলেছে। বিনা হেলমেটে বাইক যাতে চালকরা না চালান, তার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাও বাসন্তী এক্সপ্রেসওয়েতে চালকদের উদাসীনতাই দুর্ঘটনার মূল কারণ হিসেবে উঠে আসছে। - নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)