ঘটনাটি ঠিক কী? সেই লাইভ স্ট্রিমিংয়ের দাবিতেই অনড় জুনিয়র ডাক্তাররা। নবান্নের পর এবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক ভেস্তে গেল কালীঘাটেও। কবে? গতকাল শনিবার। সন্ধ্যায় ৬টা মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এই বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। বাড়ির বাইরে এসে আন্দোলনকারীর বৈঠকে বসার জন্য অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। কিন্তু তাতে জট খোলেনি। শেষপর্যন্ত একে একে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য-সহ বাকিরা।
এদিকে ফের একটি অডিয়ো ক্লিপ প্রকাশ করেছেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর দাবি, 'মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি যাওয়ার আগে শনিবার সন্ধেয় ধরণামঞ্চে জুনিয়র ডাক্তারদের নিজস্ব বৈঠকের অংশ। আপাতত এই অংশ দিলাম। এতে স্পষ্ট, একাংশ সমাধান চায়, একাংশ চায় না'।
বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, 'আমরা যখন টালা থানার ওসি ও সন্দীপ ঘোষের গ্রেফতারির খবর পেলাম, তখ বুঝতে পারলাম দেরিটা কেন হয়েছিল। এই দুটি খবর মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আগেই পৌঁছে গিয়েছিল, মিডিয়ার কাছে পৌঁছনোর আগেই। স্বাভাবিকভাবেই মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক বাতিল করে দিলেন। মন ভালো ছিল না। চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন। এরপর সিবিআইয়ে হাতটা কার দিকে এগোবে, টালা থেকে টালির দিকে এগোবে কি। তাই মিটিং বাতিল করেছেন, দ্বিতীয় কোনও কারণ নেই'।
সুকান্তের কটাক্ষ, 'মুখ্যমন্ত্রীর বিভিন্ন অনুষ্ঠান লাইভ স্ট্রিমিং করান। লাইভে উনি একাই বলবেন, কাউকে বলতে দেবেন না। আমি জানি না, ডাক্তারবাবুদের সেই দাবি ছিল না, ওনারা প্রবোচন শুনবেন। ওনারা চেয়েছিলেন আলোচনা হোক। মুখ্যমন্ত্রী লাইভে অন্য কাউকে বলতে দেবেন না। এমনকী দেখবেন প্রশাসনিক বৈঠক হয়। সেখাবে লাইভ হয়। কেউ বেশি কিছু বললে ধমকে তাঁকে বন্ধ করে দেয়। মুখ্যমন্ত্রী অন্যমত, অন্য কথা, অন্য চিন্তা কোনটাই গ্রহণ করেন না। কোনও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে নেই'।