• মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের দখলে গেল মহুলা গ্রাম পঞ্চায়েত! ‘হুমকি দিয়ে দলবদল’, অভিযোগ কংগ্রেসের
    আনন্দবাজার | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • মুর্শিদাবাদের আরও এক গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল। প্রধান, উপপ্রধান-সহ পাঁচ জন একসঙ্গে দলবদল করায় কংগ্রেসের বোর্ড গেল তৃণমূলের দখলে! যদিও কংগ্রেসের অভিযোগ, ‘ভয় দেখিয়ে’ দলবদল করতে বাধ্য করা হয়েছে সদস্যদের।

    মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা-১ ব্লকের মহুলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বোর্ড গঠন করেছিল কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের আগে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস সদস্য দলবদল করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। তখনও প্রধান এবং উপপ্রধান ছিলেন কংগ্রেসেই। শনিবার সেই প্রধান ও উপপ্রধান-সহ আরও পাঁচ পঞ্চায়েত সদস্য নতুন করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর এতেই কূল হারাল কংগ্রেস। যদিও কংগ্রেস এই দলবদলকে স্বতঃস্ফূর্ত বলে মানতে রাজি নয়। তাদের দাবি, ‘ভয় দেখিয়ে’ দলবদল করতে বাধ্য করা হয়েছে পঞ্চায়েত সদস্যদের। উল্টো দিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছে রাজ্যের শাসক দল।

    শনিবার বিকালে মহুলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান, সঞ্চালক-সহ পাঁচজন নির্বাচিত সদস্য আনুষ্ঠানিক ভাবে তৃণমূলের পতাকা হতে তুলে নেন। পুরসভার গেস্ট হাউসে তৃণমূল কংগ্রেসের এই যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেখানে বেলডাঙা উত্তরের তৃণমূলের সাংগঠনিক ব্লক সভাপতি কংগ্রেসের ওই সদস্যদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন। ঘটনায় উচ্ছ্বসিত স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর উন্নয়ন যজ্ঞে এক এক করে সকলেই আসতে শুরু করেছেন। অদূর ভবিষ্যতে বেলডাঙায় জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা ধরার আর কেউ থাকবে না।

    উল্লেখ্য, শেষ নির্বাচনে ১৯টি আসন-সম্বলিত মহুলা-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০টি আসনে জিতেছিল কংগ্রেস। বাকি আসনের পাঁচটিতে তৃণমূল, তিনটিতে নির্দল ও একটি আসনে সিপিএম জয়লাভ করে। পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হন কংগ্রেসের মানারুল শেখ। উপপ্রধান হন মেহেন্নেশা বিবি। লোকসভা নির্বাচনের আগে পাঁচ কংগ্রেস সদস্য এবং তিন নির্দল সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে পঞ্চায়েতের বোর্ডে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস। শনিবার মানারুল, মেহেন্নেশা-সহ আরও পাঁচজন তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় গোটা পঞ্চায়েত বোর্ডই তৃণমূলের দখলে চলে এল! প্রধান পদে বহাল রইলেন মানারুলই।

    জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাসের দাবি, ভয় দেখিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকদের দলে টানছে তৃণমূল। মানারুল যদিও ‘ভয় দেখানোর’ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলছেন, ‘‘পঞ্চায়েত বোর্ডে কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর জেরে উন্নয়নের কাজে বাধা আসছিল। তাই জনপ্রতিনিধি হিসেবে এলাকা উন্নয়নের দায়বদ্ধতা থেকেই দলবদল করলাম।’’
  • Link to this news (আনন্দবাজার)