• টানা বৃষ্টিতে ফের জলমগ্ন ঘাটাল, চন্দ্রকোনার বহু এলাকা
    এই সময় | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিম্নচাপের ভারী বৃষ্টিতে শিলাবতী নদীর জলস্তর বেড়ে ফের প্লাবিত ঘাটাল পুরসভার একাধিক ওয়ার্ড। জলমগ্ন রাজ্য সড়ক থেকে শুরু করে বিস্তীর্ণ এলাকা। নৌকা ও ডিঙিতে চলছে যাতায়াত। কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি। বৃষ্টির ফলে শিলাবতী নদীর জল বেড়ে প্লাবিত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল পুরসভা এলাকায়।ইতিমধ্যেই ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্য সড়কের আড়গোড়া চাতাল এলাকায় হাঁটু সমান জল। অন্যদিকে জলমগ্ন ঘাটাল পুরসভার ৫, ৬, ৭, ৮, ৯ ও ১০ ওয়ার্ড। নৌকা ও ডিঙিতে চলছে যাতায়াত। পুজোর মুখে আবারও নতুন করে বন্যা পরিস্থিতির ফলে ঘোর দুশ্চিন্তায় ঘাটালবাসী।

    মাসখানেক আগেই দু’দিনের ভারী বর্ষায় জলমগ্ন হয়েছিল ঘাটাল মহাকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা। তবে দিন কয়েকের মধ্যেই জল নামতে শুরু হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি পান ঘাটালের লোকজন। তবে শনিবার এবং রবিবার দু’দিনের বৃষ্টিতে ফের নতুন করে জলমগ্ন ঘাটাল।

    ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসনের তরফে খোলা হয়েছে একাধিক কন্ট্রোল রুম। জেলাশাসকের নির্দেশে প্রতিটি এলাকায় নজর রাখছে মহকুমা প্রশাসনের আধিকারিকরা। পাশাপাশি তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিকদেরও। সোমবার আরও বৃষ্টি হলে দুর্ভোগ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের আধিকারিকদের। শুধু ঘাটাল পুর এলাকায় নয়, জলমগ্ন হয়ে পড়েছে চন্দ্রকোনার বিস্তীর্ণ এলাকাও।

    চন্দ্রকোনায় বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে শিলাবতী নদীর জল। নদীর জল উপচে ঢুকছে গ্রামে। প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা একাধিক গ্রাম। জলে ডুবেছে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার অনেক রাস্তা। চন্দ্রকোনার যুদুপুরে শিলাবতী নদীর জল উপচে গ্রামে জল ঢুকছে। জলের তলায় বারুনীঘাট থেকে বৈকুন্ঠপুর যাওয়ার প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার রাস্তা। বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ

    এছাড়াও চন্দ্রকোনা-শ্রীনগর রাজ্যসড়কের পলাশচাবড়ী এলাকা জলমগ্ন। নদীর জল বিপদসীমা পার করায় চন্দ্রকোনার যুদুপুরে কয়েকটি জায়গায় বাঁধ ভাঙার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চন্দ্রকোনার হিরাধরপুরেও বাঁধ ভাঙার আশঙ্কায় গ্রামবাসীরা।নদীর জল উপচে গ্রামে জল ঢুকতে শুরু করায় একদিকে একাধিক গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।

    ইতিমধ্যেই বিঘের পর বিঘে কৃষি জমি জলের তলায়। গত চারদিন ধরে চলছে একনাগাড়ে বৃষ্টি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কবে কাটবে সেই দিকে তাকিয়ে নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসনও।
  • Link to this news (এই সময়)