• উত্তাল সমুদ্রে নিখোঁজ বাংলার ৪৯ মৎস্যজীবী, কান্নায় ভেঙে পড়েছে পরিবার...
    ২৪ ঘন্টা | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নকীব উদ্দিন গাজী: দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার খবর পেয়ে গভীর সমুদ্র থেকে ফিরে ট্রলার নিয়ে ফিরে আসছিল মৎস্যজীবীরা। সেই সময় নিখোঁজ হয়ে যায় ৩টি ট্রলার। ৩টি ট্রলারে মোট জন ৪৯ জন মৎস্যজীবী আটকে রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও অবধি খোঁজ মেলেনি তাঁদের। ট্রলারগুলির খোঁজে মৎস্যদপ্তর ইতিমধ্যেই উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানিয়েছে। তাঁদের তল্লাশিতে সোমবার নতুন হেলিকপ্টার নামানো হচ্ছে জানিয়েছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। 

    সময় যত বাড়ছে উদ্বিগ্নে রয়েছেন নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবার গুলি। সোমবার সকাল থেকেই মৎস্যজীবী পরিবারের সদস্যরা মালিকের বাড়ির সামনে ভিড় জমিয়েছেন। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, "এখনও পর্যন্ত তাঁদের কোনও খবর দেওয়া হয়নি।" জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ ঘাট থেকে এফবি বাবা নীলকন্ঠ ও ডায়মন্ডহারবার মৎস্যবন্দর থেকে এফবি শ্রী হরি ও এফবি মা রিয়া নামে তিনটি ট্রলার মাছ ধরতে গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর গভীর সমুদ্রে পাড়ি দেয়। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া থাকার কারণে সব মৎস্যজীবী ট্রলার নিয়ে সমুদ্র থেকে উপকূলে ফিরে এসেছে। কিন্তু উপকূলে ফেরার সময় ওই তিনটি ট্রলারের মেশিন ও ওয়্যারলেস বিকল হয়ে যায়। তবে পাশে থাকা মৎস্যজীবীরা তাদের টেনে আনার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত নদীর রোলিং এর কাছে হার মানতে হয় তাদের। তাদের ছেড়ে চলে আসতে হয় বন্দরে। চারদিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত পরিবারের কোনো সদস্যের সাথে কথা হয়নি মৎস্যজীবীদের। মৎস্যজীবীর পরিবারের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েছেন।

    ট্রলার গুলির সঙ্গে কোনভাবেই যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। জানা গিয়েছে, কাকদ্বীপ থেকে সমুদ্রে পাড়ি দেওয়া ট্রলারটিতে ১৬ জন এবং ডায়মন্ডহারবার থেকে মাছ ধরতে যাওয়া দু'টি ট্রলারের একটিতে ১৪ জন ও অন্যটিতে ১৯ জন মৎস্যজীবী রয়েছেন। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার ডায়মন্ডহারবারের সহকারি মৎস্য অধিকর্তা (সামুদ্রিক) জানিয়েছেন, মৎস্যজীবী সংগঠনের কাছ থেকে খবর পাওয়া মাত্রই তিনটি ট্রলারের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি উপকূলরক্ষী বাহিনীকে জানানো হয়। উপকূলরক্ষী বাহিনীর দু'টি জাহাজ ট্রলার তিনটির সন্ধানে তল্লাশিতে নেমেছে। উপকূলরক্ষী বাহিনীর সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে যোগাযোগ রাখা হচ্ছে।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)