কালীঘাটে বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার পর তার দায় ডাক্তারদের উপরেরই চাপিয়ে দেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাঁর দাবি ছিল ডাক্তাররা অনেক সময় পেয়েছেন তাতে তারা রাজি হননি। অন্যদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের দাবি ছিল তারা ভিডিয়োগ্রাফি বা লাইভি স্ট্রিমিংয়ের দাবি ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই কথা যখন বলতে যাওয়া হয় তখন সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় বৈঠক হবে না।
গতবার কালীঘাটের বৈঠকে সরকার লাইভি স্ট্রিমিং বা ভিডিয়োগ্রাফি করতে চায়নি সরকার। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে জুনিয়র ডাক্তারদের বলেন, ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে কিন্তু তা দেওয়া যাবে না। কারণ বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। আদালত বললে তা দেওয়া হবে। আজ মুখ্য়সচিব যে মেইল পাঠিয়েছেন সেখানে স্পষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে না। পাশাপাশি আরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এটাই বৈঠকের জন্য শেষ চেষ্টা। তবে এটাও ঠিক যে গত শনিবার ডাক্তাররা জানিয়ে দেন লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিয়োগ্রাফি দাবি থেকে তারা সরে আসছেন।
স্বাস্থ্য ভবনের সামনে ধরনা দিচ্ছেন জুনিয়র চিকিত্সকরা। মেইলের খবর পেয়ে সেখানে স্লোগান আরও তীব্রতর হয়। ফের কালীঘাটে ডাক নিয়ে এক আন্দোলনকারী বলেন, আমরা সবসময় একটা মধ্যস্থতা চাইছি। আমরা চাইছি এই অচলাবস্থা কাটুক। তাই যে কোনও মধ্যস্থতাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। অন্যদিকে, ডা তিওয়ারি নামে এক জুনিয়র ডাক্তার বলেন। বিষয়টি আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করব। তার পরেও বলব। তবে আমরা চাই বিষয়টি মিটে যাক।
মুখ্যসচিবের তরফে যে চিঠি জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে পাঠানো হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের তরফে কর্মবিরতি তুলে নিয়ে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছিল জুনিয়র ডাক্তারদের। তা হয়নি। তার পরেও এনিয়ে পঞ্চম ও শেষবার আপানাদের কাছে বৈঠকে বসার জন্য আবেদন করা হচ্ছে। আমরা আশাকরি শুভবুদ্ধির উদয় হবে। কোনও লাইভ স্ট্রিমিং বা ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে না। কারণ বিষয়টি বিচারাধীন। তবে বৈঠকের মিনিটস তৈরি করা হবে এবং তাতে দুপক্ষের সাক্ষর থাকবে।