ফের আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের আলোচনার জন্য ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তবে একগুচ্ছ শর্তও দিয়েছেন তাঁরা। আন্দোলনকারীদের দেওয়া ৩ নম্বর শর্ত মেনে আলোচনায় যেতে রাজি হয়েছে রাজ্য। তবে রাজ্যের দেওয়া জবাবি মেলে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্দোলনকারীরা। পাল্টা একটি মেল করেন তাঁরা।সোমবার বেলা ৩টে ৫৩ মিনিট নাগাদ মুখ্যসচিবকে ই-মেল করেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। সেখানে তাঁরা জানান, জণসাধারণের স্বার্থে এ দিনের বৈঠকে তাঁরা যোগ দিতে ইচ্ছুক। তবে তিনটি শর্তের কথা বলা হয় জুনিয়র ডাক্তারদের তরফে।
আন্দোলনকারীরা ই-মেলে বলেন, 'গতবারের প্রস্তাবিত বৈঠকের পর এই ঘটনায় দুটি উল্লেখযোগ্য আপডেট হয়েছে। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসিকে।'
তাঁদের সংযোজন, ‘এরপর বৈঠকের স্বচ্ছতা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। এক্ষেত্রে আমাদের দাবি, দু’পক্ষই বৈঠকের ভিডিয়ো করুক। তা সম্ভব না হলে, সরকার ভিডিয়ো করুক এবং বৈঠক শেষে ভিডিয়ো আমাদের হাতে দিক। যদি তাও না সম্ভব হয়, সেক্ষেত্রে দু'পক্ষই বৈঠকের মিনিটস লিখুক। আমরা মিনিটস লেখার লোক নিয়ে যাব। যাঁরা যাঁরা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন তাঁদের স্বাক্ষর-সহ তা আমাদের হাতে তুলে দিতে হবে। আমরা পাঁচটি দাবিতে আলোচনা করতে চাই।'
এ দিকে জুনিয়র ডাক্তারদের ৩ নম্বর দাবি মেনেই বৈঠকে বসতে রাজি হয়েছে নবান্ন। মুখ্যসচিব পাল্টা একটি মেলে বলেন, 'আমরা তিন নম্বর দাবি মেনে আলোচনায় যেতে রাজি। দু'পক্ষের প্রতিনিধিরাই বৈঠকের শেষে মিনিটসে সই করবেন এবং তা দুই তরফকেই দেওয়া হবে। যদিও জুনিয়র চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই মেলে ধোঁয়াশা রয়েছে।
ডাক্তাররা নিজেরা স্টেনোগ্রাফার নিয়ে যেতে চেয়েছেন। তাঁদের অনুমতি দেওয়া হবে কিনা, তা স্পষ্ট করা হয়নি। এই প্রসঙ্গে স্পষ্ট জবাব চেয়ে মুখ্যসচিবকে ফের মেল করেন জুনিয়র ডাক্তাররা।