• জল ছাড়া হল মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে, বানভাসির আশঙ্কা
    এই সময় | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • ১০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হল মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে। টানা বৃষ্টির জেরেই সোমবার জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জল ছাড়ার ফলে কংসাবতীর নিম্ন অববাহিকা বানভাসি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।সোমবার বেলা ১১টা নাগাদ কংসাবতী জলাধার থেকে দশ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। বৃষ্টির পরিমাণ দেখেই দফায় দফায় জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হবে, এমনটাই জানিয়েছেন মুকুটমণিপুর জলাধার কর্তৃপক্ষ। কংসাবতী সেচ দপ্তরের অধীনে মুকুটমণিপুর জলাধারে জল ধারণ ক্ষমতা ৪৩৪ ফুট। এর মধ্যে দু'দিনের টানা বর্ষণে ৪৩৩.৮০ ফুট উচ্চতায় জল রয়েছে জলাধারে।

    মুকুটমণিপুর জলাধার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখেই আগেভাগে জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জল ছাড়ার ফলে কংসাবতীর নিম্ন অববাহিকায় বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে বলে বাসিন্দারা মনে করছেন। মুকুটমণিপুর জলাধার থেকে জল ছাড়ার আগে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় জল ঢুকলে প্রয়োজনে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে বাসিন্দাদের।

    শিলাবতী নদীর জলও বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে৷ সোমবার পুলিশ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তালডাংরার শিলাবতী নদী তীরবর্তী এলাকায় মাইকে আশপাশের মানুষদের সতর্ক করা হয়। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, গভীর নিম্নচাপ সরে ঝাড়খণ্ডের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। তবে, রাজ্যের পশ্চিমের জেলাগুলিতে আরও বৃষ্টি চলবে৷ ঝাড়খণ্ডে ভারী বৃষ্টি হলে দুশ্চিন্তা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। কারণ, প্রতিবেশী রাজ্যের জল বাংলায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর অন্যান্য জলাধার থেকে জল ছাড়া হলে আরও বিপদ হতে পারে। সেক্ষেত্রে বন্যা পরিস্থিতির সম্ভাবনাও রয়েছে।
  • Link to this news (এই সময়)