আরজি কর কাণ্ডে গ্রেপ্তার টালা থানার ওসির পাশেই কলকাতা পুলিশ
এই সময় | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের পাশে কলকাতা পুলিশ। সোমবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন কলকাতা পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরা। আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। তাঁর গ্রেপ্তার হওয়া নিয়ে কলকাতা পুলিশের কর্মীদের একাংশ বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।এই প্রেক্ষাপটে সোমবার কলকাতার অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (চতুর্থ) ভি সলোমান নিশাকুমার, ডেপুটি কমিশনার (ইস্ট ডিভিশন) আরিশ বিলাল, ডেপুটি কমিশনার (এসএসডি) বিদিশা কলিতা দাশগুপ্ত টালা থানার ওসির বাড়িতে যান এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। এ দিন সলোমান নিশাকুমার বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি অভিজিৎ মণ্ডল নির্দোষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘টালা থানার ওসি খবর পাওয়ার পর ভালো উদ্দেশ্য নিয়েই ঘটনাস্থলে দ্রুত পৌঁছন। স্বচ্ছভাবে তিনি তদন্ত করেছেন বলে আমি বিশ্বাস করি।’ কলকাতা পুলিশ অভিজিৎ মণ্ডলের পাশে রয়েছে বলে বার্তা দেন লালবাজারের ওই কর্তা।
অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী সঙ্গীতা মণ্ডল বলেন, 'আমরাও চাই আরজি করের ঘটনায় দোষীর শাস্তি হোক। আমার দুই মেয়ে। আমার স্বামীর যা করণীয় ছিল সব করেছেন। সিবিআই-কে সহযোগিতাও করেছেন। ওঁর শরীর ভালো ছিল না। তারপরেও তিনি সিবিআই-এর ডাকে গিয়েছিলেন। এরপর কী হয় আমি জানি না। শুধু আমাকে জানানো হয় যে ওঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।'
টালা থানার অভিজিৎ মণ্ডলের গ্রেপ্তারের পরেই কলকাতা পুলিশের একাধিক অফিসার 'সিনিয়র'-দের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এক পুলিশ আধিকারিক সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, 'দাসত্ব আমার জন্মগত অধিকার'। এরপরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কার 'দাসত্ব'-র কথা বলছেন তিনি। তপেন্দু ঘোষ নামে এক পুলিশ আধিকারিক তাঁর ফেসবুক প্রোফাইল কালো রং করে দেন। তিনি কমেন্ট করেন, 'প্রেজ়েন্ট সিচুয়েশনে অভিজিৎ মণ্ডল বাবুর জন্য'। কলকাতা পুলিশের এক ইনস্পেক্টরের দাবি, 'মানুষ আমাদের উপর খাপ্পা। তাঁদের গালাগালি খাচ্ছি। কিন্তু নির্দেশ আসছে শীর্ষমহল থেকে। তখন কি সত্যি ওসিদের কিছু করার থাকে?'
এই প্রেক্ষাপটে কলকাতা পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে যাওয়া তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।