• ‘‌বিজেপি–সিপিএম–কংগ্রেসকে ঝাঁটাপেটা করবেন’‌, জেলা তৃণমূল সভানেত্রীর মন্তব্যে বিত
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার পর কলকাতা পুলিশ তদন্ত করেছিল। সেই তদন্ত কেমন ছিল? তদন্ত হয়েছিল নাকি প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল?‌ এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে সিবিআই। এই আবহে এবার বিরোধীদের বয়কট করা এবং ঝাঁটাপেটা করার নিদান দিলেন মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী সাগরিকা সরকার। মালদা জেলায় এক সভা থেকে এমন ভাষাতেই আক্রমণ শানালেন তিনি। যা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

    ইতিমধ্যেই আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে মুখ্যসচিবের ইমেল পৌঁছেছে। সেখানে আজ, সোমবার বিকেল ৫টায় মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন কালীঘাটে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। আর তার মধ্যেই আজ, সোমবার নির্যাতিতার ফাঁসির দাবিতে হরিশ্চন্দ্রপুরে সভা করা হয়। সেখান থেকেই মালদার মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভানেত্রী সাগরিকা সরকার বলেন, ‘‌বিরোধীদের কাজই হচ্ছে অপপ্রচার ও কুৎসা রটানো। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনাকে কেউ সমর্থন করছে না। কিন্তু সেটাকে নিয়ে রাজনীতি করছে সিপিএম–বিজেপি–কংগ্রেস। আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দোষীদের ফাঁসি চান। আমরা তা নিয়েই সভা করছি। কিন্তু বিরোধীরা আমাদের দিদির পদত্যাগ চাইছেন। ওরা নিজেদের কাজ করুক।’‌

    আগামীকাল, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালের মামলার শুনানি আছে। আর তাই তেড়েফুঁড়ে নেমেছেন সিবিআই অফিসাররা। এই আবহে তৃণমূল কংগ্রেস জেলায় জেলায় মাঠে নেমে নির্যাতিতার দোষীর ফাঁসির দাবি করছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও কলকাতার রাজপথে নেমে দোষীর ফাঁসির দাবি করেছেন। সেখানে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের মালদা জেলার সভানেত্রী সাগরিকা সরকারের হুঁশিয়ারি, ‘‌এই ইস্যু নিয়ে বিরোধীরা কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছে। আরজি কর হাসপাতালের ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমি একজন মা, স্ত্রী হয়ে এই ঘটনাকে সমর্থন করতে পারি না। কিন্তু এই ঘটনাকে নিয়ে সিপিএম এবং বিজেপি রাম–বাম যেভাবে ভুল বুঝিয়ে মেয়েদেরকে রাস্তায় নামিয়েছে। তাই সিপিএম–বিজেপিকে আপনারা বয়কট করবেন। মহিলাদেরকে বলব এরপর কোমরে কাপড় বেঁধে ঝাঁটা হাতে নিয়ে বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসকে আপনারা তুলোধনা করবেন।’‌

    এছাড়া বিজেপিকে এখানে অসুরের সঙ্গে তুলনা করেন সাগরিকা। অসুর যেমন স্বর্গ দখল করতে তাণ্ডব চালিয়েছিল তেমন বাংলা দখল করতে বিজেপি তাণ্ডব চালাচ্ছে। এখানে অসুর বলা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই মন্তব্য নিয়ে পাল্টা বিজেপির মালদা জেলার সহ–সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‌কাল টালা থানার ওসি গিয়েছে। এরপর কালীঘাটের পিসি যাবে। এসব দেখে তৃণমূলের নেতারা ভাট বকা শুরু করেছে। ক্ষমতা থাকলে আন্দোলন, প্রতিবাদ থামিয়ে দেখাক। আমরা কিছু বলব না। মানুষ হাড়ে হাড়ে জবাব দেবে।’‌
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)