• ‘নিজের বেস্ট দিয়েছিল, আমারও ২ মেয়ে আছে, আমি ফিল করতে পারি’, হতাশ অভিজিতের স্ত্রী
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি করের নির্যাতিতাকে বিচার দিতে নিজের সেরাটা উজাড় দিয়েছিলেন তাঁর স্বামী। এমনই দাবি করলেন টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী সঙ্গীতা। তিনি দাবি করেন, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের দেহ উদ্ধারের পর থেকে রাত-দিন এক করে কাজ করেছেন অভিজিৎ। এমনকী তদন্তের জন্য টালা থানার তৎকালীন ওসি বাড়িতে আসার সময়টুকুও পেতেন না বলে দাবি করেছেন স্ত্রী। সেইসঙ্গে তিনি দাবি করেছেন যে তাঁদেরও দুই মেয়ে আছে। ফলে নির্যাতিতার বাবা-মা'র উপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে, সেটাও অনুভব করতে পারছেন বলে জানিয়েছেন অভিজিতের স্ত্রী সঙ্গীতা।

    সোমবার সঙ্গীতার সঙ্গে দেখা করেন কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্তারা। সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হলেও অভিজিতের পাশে থাকার বার্তা দেন কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বিদিশা কলিথ। তাঁরা কিছুক্ষণ অভিজিতের বাড়িতে থাকেন। তারপর বেরিয়ে আসেন।

    সেইসময় টালা থানার তৎকালীন ওসি অভিজিতের স্ত্রী বলেন, ‘উনি বলেছিলেন যে উনি ওঁনার বেস্ট দিচ্ছেন। আমরাও সেটা দেখেছি। আমিও সেটা দেখছি যে উনি বাড়িতে আসতেই পারেননি। আর উনি রাত-দিন ওখানে কাজ করেছেন। উনি ওঁনার সেরাটা উজাড় করে দিয়েছেন।’

    তিনি দাবি করেছেন যে তাঁর স্বামীকে অনৈতিকভাবে ফাঁসানো হচ্ছে। তিনি দাবি করেছেন, ‘ অন্যদিকে চলে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। আর বেশি জানি না তো। আমার স্বামীও কাজ করেছেন এতদিন। এত কষ্ট করেছে। নির্যাতিতার বিচার হোক - এটা আমিও চাই। আমারও দুটো মেয়ে আছে। আমি ফিল করতে পারি। আর তার জন্য যা করার, সেজন্য উনি সব করেছেন। উনি সিবিআইয়ের সঙ্গে সহযোগিতা করেছেন।’

    তারইমধ্যে সিবিআইয়ের অফিস সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন অভিজিতের স্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন তাঁর আইনজীবী। তিনি বলেছেন, ‘ তিন ঘণ্টার উপরে অপেক্ষা করানো হয়েছিল। প্রথমে দেখা করতে দেয়নি।’ 

    উল্লেখ্য, অভিজিতের বিরুদ্ধে সাতটি অভিযোগ তুলেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, অভিযোগ পাওযার পরেও দেরিতে এফআইআর দায়ের করেছিলেন। নিয়ম মেনে কাজ করেননি। সেইসঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের অভিযোগও উঠেছে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)