• মমতার বাড়িতে বৈঠক না হলে ভালো হত!৩ শর্ত দিলেও নমনীয় ডাক্তাররা, যাচ্ছেন কালীঘাটে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • 'ম্যাডাম' মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে সাড়া দিচ্ছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। মমতার বাড়িতে বৈঠক না হলে ভালো হত বলে জানালেও আজ বিকেল পাঁচটায় মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে যে বৈঠক ডাকা হয়েছে, সেখানে তাঁরা যাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-র প্রতিনিধিরা। বিকেল পাঁচটার সেই বৈঠকে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে যাওয়ার জন্য ইতিমধ্যে বাস এসে গিয়েছে। তবে আজকের বৈঠকে লাইভস্ট্রিমিং বা ভিডিয়ো রেকর্ডিং হবে না। সোমবারের বৈঠকের জন্য সকাল ১১ টা ৪৮ মিনিটে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্ত যে ইমেল করেন, তাতে স্পষ্টভাবেই বলে দেওয়া হয় যে লাইভস্ট্রিমিং বা ভিডিয়ো রেকর্ডিং হবে না আজকের বৈঠকে। সেই পরিস্থিতিতে তিনটি শর্ত দেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সেই তিনটি শর্তের মধ্যে লাইভস্ট্রিমিং বা ভিডিয়ো রেকর্ডিং ছাড়াই বৈঠকের বিষয়টিও আছে। তাঁরা শুধুমাত্র ‘পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে’ বৈঠকের কার্যবিররণী লিপিবদ্ধ করার কথা বলেছেন। আর জুনিয়র ডাক্তারদের সেই ইমেলের জবাবও দিয়েছেন মুখ্যসচিব।

    আর সেই চিঠির জবাবে দুপুর ৩ টে ৫৩ মিনিটে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-র তরফে ইমেল করা হয়েছে, তাতেও লাইভস্ট্রিমিং বা ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের বিষয়ে অনড় থাকেননি জুনিয়র ডাক্তাররা। বরং তাঁরা জানিয়েছেন যে লাইভস্ট্রিমিং বা ভিডিয়ো রেকর্ডিং না করা হলেও আপত্তি নেই। তাঁদের বৈঠকের কার্যবিরবণী দিলেই হবে। পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে কার্যবিররণী লিপিবদ্ধ করতে হবে রাজ্য সরকারকে। জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিনিধিরাও কার্যবিররণী লিপিবদ্ধ করবেন। তিনটি শর্তে কী কী বলা হয়েছে?

    ১) দু'পক্ষের তরফে আলাদা-আলাদাভাবে ভিডিয়োগ্রাফি করা হবে। 

    ২) প্রথম শর্ত মানতে রাজি না হলে দ্বিতীয় শর্তে বলা হয় যে বৈঠকের পরে ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের পুরো ফাইল তুলে দিতে হবে জুনিয়র ডাক্তারদের।

    ৩) প্রথম দুটি শর্ত না মানা হলে তৃতীয় শর্ত হিসেবে বলা হয় যে বৈঠকের কার্যবিবরণী লিপিবদ্ধ করবে দু'পক্ষই। তাতে স্বাক্ষর করবেন সকলেই। আর সেটা একে অপরের হাতে তুলে দিতে হবে।

    কেন সেই লাইভস্ট্রিমিং বা ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের শর্ত নিয়ে নমনীয় হলেন, সেটারও কিছুটা ব্যাখ্যা দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবারের ইমেলে তাঁরা জানিয়েছেন যে জনস্বার্থে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে রাজি হয়েছেন। সেইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী যে ব্যক্তিগতভাবে তাঁদের অনুরোধ করেছিলেন, সেটা মাথায় রেখে যে ভিডিয়ো রেকর্ডিংয়ের দাবি থেকে সরে এসেছেন, তা শনিবারই জানিয়েছিলেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্ট’-র প্রতিনিধিরা।

    সোমবার সকালে জুনিয়র ডাক্তারদের কাছে রাজ্যের মুখ্যসচিবের ইমেল পৌঁছানোর পরে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা জানান, তাঁরা চান যে এই স্নায়ুর লড়াই শেষ হোক। যে জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন, তাঁরা তাঁদের সন্তানের মতোই। তাঁদের মেয়ের জন্য জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলন করছেন। তাঁদের সঙ্গে সরকারের যাতে আলোচনা হয়, সেটাই প্রার্থনা করেন তরুণী চিকিৎসকের বাবা-মা।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)