• চার পুলিশ অফিসারকে সমন পাঠাল সিবিআই, ‘‌বৃহত্তর ষড়যন্ত্রে’‌ কারা?‌ নয়া মোড় তদন্তে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার পর কলকাতা পুলিশ তদন্ত করেছিল। সেই তদন্ত কেমন ছিল? তদন্ত হয়েছিল নাকি প্রমাণ লোপাট করা হয়েছিল?‌ এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে সিবিআই। ইতিমধ্যেই প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ এবং টালা থানার ওসি অভিজিৎ মণ্ডলকে গ্রেফতার করেছে। তাদের মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করতে চান সিবিআই অফিসাররা। রবিবার শিয়ালদা আদালতে এই দাবি করে সিবিআই। কেমন করে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে দু’জনকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করা প্রয়োজন আছে বলেও সিবিআইয়ের তদন্তকারীরা যুক্তি দিয়েছেন আদালতে। কিন্তু এবার এল নয়া মোড়।

    সিবিআই আগেই দাবি করেছিল, এই ঘটনার পিছনে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র কাজ করে থাকতে পারে। আর যেটুকু তথ্য তাঁদের হাতে এসেছে তার ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের চারজন অফিসারকে সমন পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে দু’‌জন সাব ইনস্পেক্টর রয়েছেন। যাঁরা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে মনে করছেন সিবিআই অফিসাররা। টালা থানার ওসির সঙ্গে প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের আঁতাতের বিষয়টিকে এখন হাতিয়ার করেছে সিবিআই। আর এই আঁতাতের সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িয়ে আছেন বলে মনে করছে সিবিআই। তাই এই চারজন পুলিশ অফিসারকে সমন পাঠানো হয়েছে।

    আগামীকাল, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর হাসপাতালের মামলার শুনানি আছে। আর তাই তেড়েফুঁড়ে নেমেছেন সিবিআই অফিসাররা। কারণ তথ্যপ্রমাণ দিতে না পারলে আবার খাঁচায়বন্দি তোতাপাখি সম্বোধন শুনতে হতে পারে। যা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিনের সময় শুনতে হয়েছিল সিবিআইকে। এবার যাতে তা না হয় তার জন্য সমস্ত আটঘাট বেঁধে ফেলা হচ্ছে। পুলিশ অফিসারদের কর্তব্যে গাফিলতির বিষয়টি নজরে এসেছে সিবিআইয়ের। তাই এই সমন পাঠানো হয়েছে। এই চারজন পুলিশ অফিসার এলেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তদন্তের স্বার্থে এই চারজন পুলিশ অফিসারের নাম ও পদ জানায়নি সিবিআই।

    সিবিআই সূত্রে খবর, একটা বড় অংশের পুলিশ অফিসার সম্পূর্ণ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারদের ভুল পথে চালিত করেছে। আর তাঁরাই প্রমাণে গরমিল করেছে। সন্দীপ ঘোষের অঙ্গুলিহেলনেই পুলিশ অফিসাররা এই কাজ করেছেন। তাই বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কেস ডায়েরিতেও অনেক গরমিল মিলেছে। তাই এই চার পুলিশ অফিসারকে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন আছে। গোটা তদন্তে তিনটি ধাপ আছে। এক, ধর্ষণ–খুনের ঘটনা কে ঘটাল? দুই, কী কী তথ্যপ্রমাণ লোপাট করা হল? তিন, সমগ্র ষড়যন্ত্রে কারা কারা জড়িত? একাধিক জোরালো প্রমাণ হাতে এসেছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)