প্রশাসনের ডাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাড়িতে জুনিয়ার ডাক্তারদের যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে ঘাটালের সাংসদ তথা অভিনেতা দেব বলেন, 'আমি সাধুবাদ জানাই তাদের, আমি চাই এই আন্দোলনটা এবার শেষ হোক দোষীরা শাস্তি পাক এবং যারা গরিব মানুষ যারা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করায় সরকারি হাসপাতালটা ওঁদের কাছে মন্দির যদি ওঁদের শরীর খারাপ হয় তারা যেন এই পরিষেবাটা পায়। জুনিয়র ডাক্তার ছাড়া তো একটা হসপিটাল চলতে পারে না এটা আমরা সবাই জানি। এটা আমরা এখন সবাই বুঝে গেছি অন্তত যারা বুঝতে পারত না। তারা ভাবতো ডাক্তার মানেই সব কিন্তু জুনিয়ার এবং সিনিয়র ডাক্তাররা মিলে একটা হাসপাতাল চালায়।'
তিনি আরও বলেন, 'গত ৪০ দিন ধরে একটা আন্দোলন বাংলায় এবং শুধু বাংলা নয় এতে গোটা ভারতবর্ষ শরিক হয়েছিল। এই আন্দোলনের একটাই উল্লেখ্য যে এরপরে যেন কোনও মেয়ের নাম তিলোত্তমা বা নির্ভয়া না রাখতে না হয় এবং এমন কিছু আসা উচিত যাতে মানুষ এই রেপ মেন্টালিটি থেকে বেরিয়ে আসতে পারে এবং হাত দেওয়া তো দূরের কথা চোখ দিয়ে তাকাতেও যেন ভয় পায়।'
ঘাটালে বন্যা পরিস্থিতি ক্রমশ অবনতি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ঘাটালের সাংসদ দেব তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েকটি জায়গায় আজ ঘুরে দেখেন। পরে ঘাটালের মহকুমা শাসক দফতরে প্রশাসনিক আধিকারিদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেন। জল ছাড়া নিয়ে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন। গতকালই ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল এবং আবার নতুন করে আজকের ৪০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হবে, ফলে বন্যা পরিস্থিতি যে আরও খারাপের দিকে যাবে সেটা দেব নিজেই বুঝতে পেরেছেন এবং সে ক্ষেত্রে তিনি জানিয়েছেন তিনি নিজে থেকে মনিটরিং করবেন এবং কোথায় কি প্রয়োজন তা তিনি নিজেই দেখবেন।
তবে তিনি বলেন যে, 'একটাই স্বস্তি যে বৃষ্টি আপাতত আগামী দুদিন হবে না বলেই জানা যাচ্ছে। মানুষকে পরিষেবা সব রকমভাবে কিভাবে দেওয়া যায় সেটাই দেখা হচ্ছে। সব জায়গায় হয়তো আমি বাড়ি বাড়ি পৌঁছতে পারব না। কিন্তু এমন একটা জায়গায় বাড়িতে থেকে মনিটরিং করব এবং হেল্প লাইন নম্বর তাদের কাছে পৌঁছে দিয়ে আমার দলের কাউকে পাঠিয়ে বা প্রশাসনের কাউকে পাঠিয়ে দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'