স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতের নাম পাপ্পু দাস। বাড়ি, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। ব্য়ান্ডেলের সাহেবগঞ্জে জুপিটার কারখানার সুপারভাইজার পদে চাকরি করতেন তিনি। রোজকার মতোই সোমবারও যন্ত্রাংশ তৈরির ওই কারখানা কাজে এসেছিলেন পাপ্পু। কারখানায় বিশ্বকর্মা পুজোর প্রস্তুতি চলছিল।
ঘড়িতে তখন সাড়ে তিনটে। অভিযোগ, কারখানার বাইরে সুপারভাইসারের উপর চড়াও হয় কয়েক দুষ্কৃতী। রাস্তায় ফেলে তাঁকে কিল-চড়-ঘুষি মারতে থাকে তারা! এরপর কারখানা কয়েকজন শ্রমিক বাঁচাতে গেলে, তাঁদেরকেও মারধর করা হয়। ততক্ষণে হামলাকারীরা পালিয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় পাপ্পুকে ব্যান্ডেল এএসআই হাসপাতালে। সেখানে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি কারখানার বাইরে হয়েছে। কী কারণে এবং কারা এই ঘটনা ঘটাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঠিকা শ্রমিকদের সঙ্গে গন্ডগোলের জেরে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এখনও এই ঘটনায় কাউকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়নি।
এদিকে জুপিটার কারখানার গেটে ঠিক উল্টো দিকে হোটেল চালান পুতুল দেবী পাশোয়ান। ঘটনার সময়ের অবশ্য তিনি হোটেলে ছিলেন না। পুতুল জানান, বিশ্বকর্মা পুজোয় শ্রমিকদের খাওয়াবেন বলে ২০ কেজি মাংসের অর্ডার দিয়েছিসেন নিহত সুপারভাইসার। শ্রমিকরাও জানিয়েছেন, 'সুপারভাইজারবাবু ভালো লোক ছিলেন'।