ঘটনাটি ঠিক কী? ৯ অগাস্ট আরজি করকাণ্ডে প্রতিবাদে রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতি শুরু করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ৩ দিন পর, ১২ অগাস্ট দুর্ঘটনায় গুরুতর হয় আহত হয় তৃতীয় শ্রেণীর পড়ুয়া শিবম। শেষপর্যন্ত বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার। পরিবারের অভিযোগ, সেদিন হাসপাতালে ভর্তি করার পরেও কোনও চিকিত্সক আসেননি। কার্যত বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হয় ওই শিশুর। অভিযুক্ত চিকিত্সকের শাস্তির দাবিতে হাসপাতালে রীতিমতো ভাঙচুরও চালান আত্মীয় পরিজনরা।
এদিকে রাজ্যের দাবি, জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি কারণে সরকারি হাসপাতালে পরিষেবা না পেয়ে রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য়ে বিনা চিকিত্সায় এখনও পর্যন্ত মৃত ২৯। মৃতদের পরিবারের পিছু ২ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছেন তিনি। সেই তালিকায় নাম রয়েছে বালুরঘাটের শিবম শর্মারও!
পরিবারের লোকের কিন্তু সাফ জানিয়েছেন, জুনিয়র চিকিত্সকদের আন্দোলন তখনও শুরু হয়নি। চিকিত্সক দেরিতে আসার কারণেই মৃত্যু হয়েছিল ওই শিশুরটি। টাকা নয়, বিচার চান তাঁরা। মৃতের দাদার কথায়, 'ঘটনার দিন আমার ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করার কয়েক ঘন্টা পরে চিকিৎসক আসেন। চিকিৎসায় দেরীর কারণেই আমার ভাইয়ের মৃত্যু হয়। তারপর থেকেই ওই চিকিৎসকদের আড়াল করতে, প্রশাসনিক পদক্ষেপ আমাদের বিরুদ্ধে গিয়েছে। থানায় আমাদের এফ আই আর পর্যন্ত নেয়নি। পরে ডাকযোগে পুলিশ সুপারের মাধ্যমে জমা করিয়েছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত মামলা শুরু হয়নি। হাসপাতালেও রোগী ভর্তি করা সংক্রান্ত কোনো কাগজ দেওয়া হয়নি'।
এর আগে, তৃণমূলের এক্স হ্যান্ডেল থেকেও বালুরঘাটের এই ঘটনাটি পোস্ট করা হয়েছিল। শিবমের পরিবারের তরফে আগেই জানানো হয়েছিল, তাদের বক্তব্যকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করে হয়েছে।