• সন্দীপের ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন কাড়ার উদ্যোগ মেডিক্যাল কাউন্সিলের
    এই সময় | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এই সময়: বিভিন্ন চিকিৎসক সংগঠন থেকে আগেই বরখাস্ত হয়েছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। অর্থোপেডিক অ্যাসোসিয়েশন থেকে শো-কজ় করা হয়েছিল, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) কেড়ে নিয়েছিল প্রাথমিক সদস্যপদ। এ বার ডাক্তার হিসেবেই তিনি অস্তিত্ব হারাবেন কি না, সেই প্রশ্ন উঠে গেল।কারণ, যে নিয়ামক সংস্থা ডাক্তারি রেজিস্ট্রেশন দেয়, সেই রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলই সন্দীপের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। চলতি সপ্তাহেই এ ব্যাপারে বৈঠক ডাকা হতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য। রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিলের শীর্ষকর্তারা সোমবার এ কথা জানিয়েছেন।

    কেন তাঁর ডাক্তারির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে না? এ কথা জানতে চেয়ে সিবিআইয়ের হাতে দুর্নীতি এবং খুন-ধর্ষণের জোড়া মামলায় ধৃত সন্দীপকে গত শুক্রবার শো-কজ় করেছিল রাজ্য মেডিক্যাল কাউন্সিল। সন্দীপকে বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিল ১৯১৪, সাবসিকোয়েন্ট অ্যামেন্ডমেন্ট ২৫ (এ) (২) অ্যাক্ট-এর অ্যাপ্লায়েড মেডিক্যাল কাউন্সিল ৩৭ (৩) ধারায় শো-কজ় করা হয়েছে।

    তাতে বলা হয়েছিল, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জবাব না পেলে কিংবা জবাবে কাউন্সিল সন্তুষ্ট না হলে বাতিল হতে পারে সন্দীপের মেডিক্যাল রেজিস্ট্রেশন। কাউন্সিলের রেজিস্ট্রার মানস চক্রবর্তী বলেন, ‘আমরা কোনও জবাব পাইনি ওঁর কাছ থেকে। এবার কাউন্সিল বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হবে ওঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিলের ব্যাপারে। সেই বৈঠক ডাকবেন কাউন্সিলের সভাপতি। সেখানে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেলেই বাতিল হবে ওঁর রেজিস্ট্রেশন।’

    বৈঠক কবে ডাকা হবে? মেডিক্যাল কাউন্সিলের সভাপতি সুদীপ্ত রায় বলেন, ‘আজ (সোমবার) ছুটির দিন। কাল (মঙ্গলবার) বা পরশু (বুধবার) কাউন্সিল অফিসে যাবো। গিয়ে ঠিক করা হবে, সব সদস্যদের নিয়ে কাউন্সিল মিটিং ঠিক কবে ডাকা হবে। হয়তো এ সপ্তাহেই বা সামনের সপ্তাহে হবে মিটিং। সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে সন্দীপ ঘোষের রেজিস্ট্রেশন বাতিলের ব্যাপারে।’

    কাউন্সিল কর্তারা জানাচ্ছেন, কত দিনের জন্য রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা হবে, সেই সিদ্ধান্তও নেওয়া হবে ওই বৈঠকে। মানসের ব্যাখ্যা, কাউন্সিল যদি স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে কোনও চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন বাতিল করতে চায়, তা হলে দু’টি কারণে সেটা করা যেতে পারে।

    প্রথমত, কেউ যদি অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র বা অপরাধমূলক কাজে আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন। আর দ্বিতীয়ত, ভয়ঙ্কর অপরাধমূলক কোনও ঘটনায় নাম জড়ানোর কারণে সমাজে যদি অভিযুক্তের মারাত্মক বদনাম (ইনফেমাস কন্ডাক্ট) হয়। তবে অভিযুক্ত যদি ক্লিনচিট পেয়ে যান, তা হলে তাঁর রেজিস্ট্রেশন ফিরিয়ে দেওয়াই নিয়ম।
  • Link to this news (এই সময়)