আরজি করের আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তৎপর ইডি, একাধিক জায়গায় তল্লাশি
এই সময় | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির ঘটনায় মঙ্গলবার সকাল থেকেই তেড়েফুঁডে ইডির তদন্ত। শহরের একাধিক জায়গায় ইডি-র তল্লাশি অভিযান। তৃণমূল বিধায়ক ও আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির প্রাক্তন চেয়ারম্যান, চিকিৎসক সুদীপ্ত রায়ের উত্তর কলকাতার বাড়ি এবং নার্সিংহোমের বাড়িতে চলছে তল্লাশি।শ্রীরামপুরের তৃণমূল বিধায়ক সুদীপ্ত রায় পশ্চিমবঙ্গ হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সদস্য এবং পশ্চিমবঙ্গ মেডিক্যাল কাউন্সিলের প্রাক্তন সভাপতি। কয়েকদিন আগেই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এ বার ইডি স্ক্যানারে তিনি। সুদীপ্ত রায় সন্দীপ 'ঘনিষ্ঠ' বলে অনেকেই দাবি করেছেন।
এ ছাড়া বালিগঞ্জের এক ওষুধ ব্যবসায়ীর বাড়িতেও হানা দিয়েছেন ইডি-র তদন্তকারীরা। সন্দীপ জৈন নামে ওই ব্যবসায়ী আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসার সরঞ্জাম এবং যন্ত্রপাতি সরবরাহ করতেন বলে জানা যাচ্ছে। আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের ফার্ম হাউসেও তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির অফিসাররা। তল্লাশির জায়গাগুলি ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা।
আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন প্রাক্তন অতিরিক্ত সুপার আখতার আলি। সন্দীপ ঘোষের পাশাপাশি চিকিৎসক দেবাশিস সোম এবং সঞ্জয় বশিষ্টের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন আখতার আলি। তাঁর আরও অভিযোগ, বরাত দেওয়ার কাজে স্বজনপোষণ করতেন সন্দীপ ঘোষ। হাসপাতালের ‘বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট’ অবৈধ ভাবে বাইরে বিক্রি করা হত বলে অভিযোগ করেছিলেন তিনি।
প্রথমে তিনি কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন এবং রাজ্য ভিজিল্যান্স কমিশনেও লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পরে তিনি ইডি-র তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন। তাঁর দায়ের করা মামলাতেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছে ইডিও। এর আগে এই মামলায় আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ-সহ আরও ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছিলেন তদন্তকারীরা। এ বার নজরে সুদীপ্ত রায় এবং সন্দীপ জৈন।