• বাঁধের ছাড়া জলে বানভাসির ভয়, না জানিয়েই সিদ্ধান্ত, দাবি মমতার
    এই সময় | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • এই সময়: টানা বৃষ্টি এবং বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ার ফলে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে জেলাগুলোর প্রশাসনকে আগাম সতর্ক করেছে নবান্ন। প্রশাসনিক তৎপরতার পাশাপাশি দুর্গত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধারকাজে অবিলম্বে ঝাঁপিয়ে পড়তে শাসকদলের নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।প্রশাসন সূত্রের খবর, শুক্রবার শুরু হওয়া টানা বৃষ্টিতে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর, দাসপুর, চন্দ্রকোনা, দাসপুর, ঘাটালের বহু গ্রাম জলমগ্ন। শিলাবতী, কংসাবতী, রূপনারায়ণ-সহ বিভিন্ন নদ-নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। সোমবার কেশপুর ও দাসপুরের প্লাবিত এলাকাগুলো ঘুরে দেখেন ঘাটালের অভিনেতা-সাংসদ দেব। কংসাবতী নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় ঝাড়গ্রামে ফেয়ারওয়েদার ব্রিজ ভেঙে গিয়েছে।

    সোমবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রাম থেকে মেদিনীপুর যাওয়ার আমদই-কঙ্কাবতী ফেরিঘাটে যাতায়াত বন্ধ। ৯ নম্বর রাজ্য সড়ক-সহ জেলার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা দিয়ে নদীর জল বইছে। ওই সব রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ। ওই সব এলাকার সঙ্গে ঝাড়গ্রাম জেলা সদরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রবল বৃষ্টিতে বীরভূমের ইলামবাজারে মাটির দেওয়াল চাপা পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে।

    পুলিশ জানায়, মৃতার নাম মালতী মাল (৫০)। পুলিশ সূত্রের খবর, রবিবার রাতে নাতির সঙ্গে বাড়িতে বসে চপ-মুড়ি খাচ্ছিলেন মালতী। রাত ৮টা নাগাদ আচমকাই মাটির দেওয়াল ভেঙে পড়ে। তার নীচে নাতিকে নিয়ে চাপা পড়ে যান ওই মহিলা। নাতির আঘাত তেমন গুরুতর না-হলেও মালতী গুরুতর জখম হন। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

    পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনি থানা এলাকার ইটাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চটি রানিগঞ্জ গ্রামে দেওয়াল চাপা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানায়, মৃতের নাম অশোক বন্দোপাধ্যায় (৫২)। কোপাই নদীর জল শনিবার থেকেই বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। কোপাই নদীর বাঁধ উপচে কঙ্কালীতলা মন্দিরের গর্ভগৃহে জল ঢুকে পড়েছে৷ সেখানে পুজো বন্ধ। তবে এক বুক জলে দাঁড়িয়ে মাথায় করে পুজোর সামগ্রী নিয়ে দেবীকে এ দিন ভোগ নিবেদন করা হয়৷

    সোমবার সকালে সিউড়ির তিলপাড়া জলাধার থেকে সাত হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়। তাতে আশপাশের গ্রামগুলোয় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। জলের তোড়ে সাঁইথিয়ার অস্থায়ী ফেরিঘাট ভেঙে গিয়েছে। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে পশ্চিম বর্ধমানের সঙ্গে বীরভূমের যোগাযোগ ব্যবস্থা। রাস্তা জলের তলায় চলে যাওয়ায় কামারপুকুর-গড়বেতা এবং কামারপুকুর-জয়রামবাটি রুটে বাস চলাচল আপাতত বন্ধ।

    \

    কামারপুকুর কলেজে জল ঢুকেছে। একই অবস্থা কামারপুকুরের শ্রীরামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ আবাসিক ছাত্রী বিদ্যালয়ের। ডিভিসি-র ছাড়া জলে দামোদরের পার্শ্ববর্তী উদয়নারায়ণপুর, আমতা-সহ হাওড়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। অতি বৃষ্টি ও জলাধার থেকে ছাড়া জলের চাপে খানাকুলে দ্বারকেশ্বর নদের বাঁধ ভেঙে প্লাবিত আরামবাগ মহকুমার বেশ কয়েকটি এলাকা। আরামবাগ শহরে বাঁধ ভেঙে পুরসভা এলাকারও বেশ কিছু তল্লাট জলমগ্ন।

    আরামবাগের সাংসদ, তৃণমূলের মিতালি বাগের বাড়িতেও জল ঢুকেছে। ডিভিসি-র ছাড়া ৮৪ হাজার কিউসেক জল আজ, মঙ্গলবার উদয়নারায়ণপুরে এসে পৌঁছবে। তবে তাতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা নেই বলে মনে করছেন প্রশাসন ও সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা। তাঁদের বক্তব্য, মেগা প্রজেক্টের মাধ্যমে দামোদরের সংস্কার ও দামোদরের পূর্ব ও পশ্চিম পাড়ে কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ১৬ মৎস্যজীবী
  • Link to this news (এই সময়)