• গঙ্গার গ্রাসে ভিটেমাটি, জমি অন্যত্র আশ্রয়ে বাসিন্দারা
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, জঙ্গিপুর: উৎসবের মরশুমে সামশেরগঞ্জের নতুন শিবপুর, লোহরপুর ও মহেলটোলায় রীতিমতো বিষাদের সুর। ঘরবাড়ি, ভিটেমাটি, চাষের জমি গ্রাস করছে গঙ্গা। দিনকয়েক আগেই লোহরপুরে কয়েকটি পাকাবাড়ি, জমি সহ এলাকার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাটির বাঁধের একাংশ তলিয়ে গিয়েছে। বাঁধের উপর দিয়েই মানুষ চলাচল করত। ফলে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার উপক্রম দেখা দিয়েছে। তারপর থেকে অল্পবিস্তর পাড় ধসছে। ফলে আতঙ্ক পিছু ছাড়ছে না এলাকাবাসীর। তাই এখানে পুজোর আনন্দ ম্লান হয়েছে। দীর্ঘদিনের এই ভাঙন সমস্যা থাকলেও প্রশাসন বা নেতারা ভাঙন রোধের স্থায়ী সমাধানের চেষ্টা করেননি বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

    গত মাসখানেকের মধ্যেই নতুন শিবপুর ও লোহরপুরের মানুষ একাধিকবার ভয়াবহ ভাঙনের কবলে পড়ে। বর্ষার মরশুমে নদীতে জলস্তর বাড়ার ফলে আচমকা ভাঙন শুরু হয়। ফলে উৎসবের মরশুমে বিষাদের সুর ছড়িয়ে পড়েছে। দুর্গাপুজোর আনন্দে মেতে ওঠার আগেই ভাঙনের আতঙ্কে ভিটেমাটি ছেড়ে মাথা গোঁজার আশ্রয় খুঁজতে আত্মীয়দের বাড়ি বাড়ি ঘুরছেন তাঁরা। আচমকা ভাঙনের ফলে গঙ্গার তীরবর্তী এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি তলিয়ে যায়। প্রাণ হাতে গ্রাম ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যান এলাকাবাসী। কিছু পরিবার স্থানীয় নতুন শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ীভাবে আশ্রয় নেয়। এছাড়াও শতাধিক পরিবার নিরাপদ আশ্রয়ে চলে গিয়েছে।

    প্রায় মাস দেড়েক আগে নতুন শিবপুরে আস্ত ১০টি পাকাবাড়ি নিমেষেই গঙ্গায় তলিয়ে যায়। বাড়ির মালিক ও প্রতিবেশীদের দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না। তার দিন কয়েক পরই লোহরপুরে তিনটি পাকাবাড়ি হুড়মুড়িয়েই গঙ্গায় তলিয়ে যায়। আরও বেশ কয়েকটি পরিবার ঘরের ইট-কাঠ, দরজা-জানালা ভেঙে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে বাধ্য হয়। লোহরপুরেও বন্যা রোধ করতে তৈরি মাটির বাঁধের বেশ কয়েক মিটার এলাকা তলিয়ে যায়। ওই বাঁধ থেকে মাত্র ২০মিটার দূরে ঘনবসতি লোহরপুর গ্রাম। শতাধিক পরিবারের বসবাস। কয়েকটি বাড়ি ও শৌচালয় খাদের কিনারে ঝুলছে। সেগুলি যেকোনও সময় তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। অপূর্ব সরকার, গোকুল রবিদাস ও সুরেন রবিদাসরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। অপূর্ব মণ্ডল বলেন, মানুষের মাথার উপর ছাদ নেই। প্রতিবেশীর বাড়িতে ত্রিপলের তলায় কোনওরকমে রাত কাটছে। 

    এমন অবস্থায় কীভাবে উৎসব 

    করব! -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)