• পুজোর মুখে কার্যত ডোবার চেহারা নিয়েছে বর্ধমান শহরের রাস্তাগুলি
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বর্ধমান: ‘ডোবা’র চেহারা নিয়েছে বর্ধমানের রাস্তা। বীরহাটা হোক কিংবা গোলাপবাগ, সব জায়গাতেই বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। তিন দিনের বৃষ্টিতে জল জমে যাওয়ায় কোথায় কতটা গর্ত রয়েছে, তা পথচলতি লোকজন টের পাচ্ছেন না। বৃষ্টির আগে শহরের কয়েকটি রাস্তায় তাপ্পি দেওয়া হয়। সেই রাস্তাতেও গর্ত তৈরি হয়েছে। শহরের বাসিন্দা বাবুন মজুমদার বলেন, বর্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকেই রাস্তা বেহাল হয়ে রয়েছে। টানা বৃষ্টি হওয়ায় অনেক রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। পুজোর আগে আদৌ রাস্তা সংস্কার হবে কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বর্ধমান শহরে বাজার করতে বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা আসেন। তাঁরাই রাস্তায় বাইক বা অন্য গাড়ি চালাতে সমস্যায় পড়ছেন। 

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আত্মীয়ের চিকিৎসা করতে আসা কুরবান শেখ বলেন, বৃষ্টিতে পুরো রাস্তা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছিল। হাসপাতালের সামনের রাস্তাতেও গর্ত তৈরি হয়েছে। গর্তগুলি দ্রুত সংস্কার করা উচিত। শহরের বাসিন্দারা আরও বলেন, জলের পাইপ লাইন বসাতে গিয়েই রাস্তার দফারফা হয়ে গিয়েছে। একই রাস্তা দু’বার করে খোঁড়া হয়েছে। সেগুলি সংস্কার হয়নি। গলির রাস্তাগুলিও বেহাল হয়ে গিয়েছে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তায় পেভারব্লক বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এধরনের রাস্তা সহজে বেহাল হয় না। ইতিমধ্যে কয়েকটি রাস্তায় পেভার ব্লক বসানো হয়েছে। সেগুলি বেহাল হয়নি। 

    পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছিল। এই কয়েকদিন টানা বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হওয়ার কার঩ণেই রাস্তা বেহাল হয়ে গিয়েছে। পুজোর আগে সব রাস্তা সংস্কার করা হবে। এক অধিকারিক বলেন, আম্রুত প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চলছে। রাস্তা খুঁড়ে পাইপ বসানোর কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। তার খেসারত শহরের বাসিন্দাদের দিতে হয়েছে। পাইপ বসানোর পর রাস্তা সংস্কার করা হলে এই পরিস্থিতি তৈরি হতো না। আম্রুত প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা আধিকারিকদের দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য বলা হয়েছে। মাঝে পাইপের সমস্যা থাকায় কাজের গতি কমে যায়। সেই সমস্যা মিটে গিয়েছে। কাজের গতি না বাড়ালে নির্দিষ্ট সময়ের আগে এই প্রকল্পও শেষ হবে না বলে আধিকারিকরা মনে করছেন। এই প্রকল্পের কাজ শেষ হলে নতুন করে অর রাস্তা খোঁড়ার দরকার হবে না। বাসিন্দাদের দুর্ভোগ অনেকটাই কমে যাবে।
  • Link to this news (বর্তমান)