• দুর্গাপুরে পুরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ রাখায় বিতর্ক
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আসানসোল: স্বাস্থ্য পরিষেবা সচল করতে যখন রাজ্য সরকার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে, তখন দুর্গাপুরে চোখে পড়ল উল্টো ছবি। সোমবার স্বাস্থ্যদপ্তরের সরকারি ছুটির দিন না হলেও দুর্গাপুর পুরসভার অধীনে থাকা সমস্ত পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র তালাবন্ধ রইল। দুর্যোগের দিনে অনেকেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে বিনা চিকিৎসায় ফিরে গিয়েছেন। যা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। বিরোধীরাও এনিয়ে সরব হয়েছে।অভিযোগ, এটাই প্রথম নয়। পুরসভার তরফে বিভিন্ন সময়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্র বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে পুরসভা থেকে। যা নিয়ে শহরবাসীর মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। এনিয়ে দুর্গাপুরের মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায় কোনও মন্তব্য করতে চাননি।দুর্গাপুর পুরসভার অধীনে ১১টি পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছিল। পরে অঙ্গদপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রকে পুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মর্যাদা দিয়ে পুরসভার অধীনে আনা হয়। এই ১২টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মধ্যে বেশ কয়েকটিতে যথেষ্ট ভিড় হয়। প্রতিদিন পশালডিহা, কুড়ুলিয়াডাঙা, সগড়ভাঙার বহু মানুষ এখানে চিকিৎসা করাতে আসেন। ডেঙ্গু সহ নানা পরীক্ষা হয়। সামনেই পুজো। ডেঙ্গুর প্রকোপ কমানো নিয়ে বিভিন্ন পুরসভা বিশেষভাবে তৎপর রয়েছে। কিন্তু দুর্গাপুরে পুরসভাই স্বাস্থ্য পরিষেবা এদিন বন্ধ রাখল। যার জেরে অনেক মানুষ এসমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এসে ফিরে গিয়েছেন।বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, এসব রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার লক্ষণ। প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক বিপ্রেন্দু চক্রবর্তী বলেন, স্বাস্থ্যদপ্তরের ভবন হওয়া ছাড়া কোনও উন্নয়ন হয়নি। এভাবে ইচ্ছেমতো ছুটি দেওয়া যায় না। দুর্গাপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যা রাখি তেওয়ারি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকারের সমীক্ষার জন্য কর্মীরা অনেক পরিশ্রম করেছেন। এছাড়া, অন্য একটি ছুটির দিনে তাঁরা কাজ করেছিলেন। তাই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখা হয়েছিল। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য আমাদের স্বাস্থ্যবিভাগের টিম প্রস্তুত রয়েছে।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)