• থিমের পুজোয় শহরকে টেক্কা অযোধ্যানগরের
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বহরমপুর: শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকা। সঠিক ঠিকানা দিতে আগে অনেককেই সমস্যায় পড়তে হতো। কিন্তু এখন বহরমপুর শহর ঘেঁষা অযোধ্যানগরকে সবাই একডাকে চেনে। বিগ বাজেটের থিমের দুর্গাপুজোই অযোধ্যানগরকে পরিচিতি দিয়েছে। জেলার বাইরে থেকেও অনেকে এখন প্রতিবার নিয়ম করে অযোধ্যানগরের দুর্গাপুজো দেখতে আসেন।

    কয়েকবছর ধরে এই গ্রামীণ এলাকায় থিমের পুজো করে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে অযোধ্যানগর দুর্গাপুজো কমিটি। এই পুজো কমিটির করা ড্রাগন টেম্পল, ফরাসি মিউজিয়াম, লক্ষ্মীনারায়ণ মন্দির, লকডাউন, রামমন্দির, দুবাইয়ের হিন্দু মন্দিরের থিম দর্শনার্থীদের মনে দাগ কেটেছে। থিমের প্রতিযোগিতায় শহরের পুজোর সঙ্গে টেক্কা দিয়ে বহুবার সেরার শিরোপা পেয়েছে।

    এবার অযোধ্যানগরের পুজো মণ্ডপে উঠে আসছে গুজরাটের আরাধনা ধাম(জৈন মন্দির)। পুজো কমিটির সদস্য মৃন্ময় অধিকারী বলেন, পুজোর থিমে আমরা বরাবর মন্দির, স্থাপত্যকে প্রধান্য দিয়েছি। নিখুঁত শিল্পশৈলীর উপর নজর দিয়েছি। এবারও মণ্ডপসজ্জা ও প্রতিমার অভিনবত্ব সবার নজর কাড়বে।

    এবার অযোধ্যানগরের সর্বজনীন দুর্গাপুজো ৮০তম বর্ষে পড়ল। পাড়ার ২৭৫টি পরিবার এই পুজোর সঙ্গে জড়িত। ন’বছর ধরে মুর্শিদাবাদের সেরা পাঁচটি থিমের পুজোর তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে অযোধ্যানগর। বিদ্যুৎ সাশ্রয় করে এলইডি আলোয় ‘ড্রাগন টেম্পল’ জেলায় সাড়া ফেলেছিল। এবার গুজরাটের মন্দিরের আদলে তৈরি মণ্ডপের ভিতর কাপড় ও প্লাস্টার অব প্যারিসের নকশার কাজ থাকছে। মন্দিরের চূড়া ও বাইরের বেশিরভাগ অংশ ফাইবার কাস্টিং দিয়ে তৈরি হচ্ছে। মন্দিরের চাতাল বিভিন্ন কারুকার্যে সাজিয়ে তোলা হবে। দীপক কর্মকারের চিন্তাভাবনায় মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে।

    পুজো কমিটির সম্পাদক গোপালচন্দ্র সাহা বলেন, সাবেকি প্রতিমাতেও চমক থাকছে। প্রতিমাশিল্পী উজ্জ্বল নাথ। চতুর্থীর দিন দর্শনার্থীদের জন্য মণ্ডপের দরজা খুলে দেওয়া হবে। এবার পুজোর বাজেট ২০ লক্ষ টাকা।

    ১০বছর আগেও অযোধ্যানগরের দুর্গাপুজো লোকচক্ষুর আড়ালেই ছিল। অযোধ্যানগর পুজো কমিটি থিমপুজোয় নজর কাড়তে শুরু করার পর হরিদাসমাটি, কৃষ্ণমাটির আরও তিন-চারটি পুজো কমিটি থিমের পুজো শুরু করেছে। তারপর থেকেই প্রতিবার পুজোয় এসমস্ত এলাকায় হাজার হাজার দর্শনার্থী আসছেন। মৃন্ময়বাবু বলেন, আগে এলাকার মানুষ আত্মীয়, বন্ধুদের ঠিকানা বোঝাতে গিয়ে ফ্যাসাদে পড়তেন। এখন আর কাউকে অযোধ্যানগর চিনিয়ে দিতে হয় না। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)