• ঝুঁকি নিয়ে কাঠের সাঁকোয় খড়ি নদী পারাপার, পাকা সেতুর দাবি
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানকর: নেই পাকা সেতু। খড়ি নদীর উপরে কাঠের সেতু পেরিয়েই নিত্য যাতায়াত করতে হয় গলসির বাহিরঘন্ন্যা, আউশগ্রামের তকিপুর, বনপাশ সহ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের। বছরের অন্য সময় সমস্যা না হলেও বর্ষা এলেই কাঠের সেতু জলের তলায় চলে যায়। ঝুঁকি নিয়েই চলে পারাপার। তবে জল বাড়লে পারাপার বন্ধ থাকে। ফলে সমস্যায় পড়তে হয় এলাকার বাসিন্দা সহ পড়ুয়াদের। তাই পাকা সেতু তৈরির দাবি জানিয়েছেন দুই পাড়ের বাসিন্দারা।

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আউশগ্রামের বিল্বগ্রাম, বেলকাশ, বনপাশ, ভোঁতা, ব্রজপুর, গলসির বাহিরঘন্ন্যা, কুরকুবা, জয়কৃষ্ণপুর সহ একাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এই অস্থায়ী কাঠের সেতু দিয়ে নিত্য যাতায়াত করেন। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ নিয়াজ বলেন, কাঠের সেতু পেরিয়ে খুব তাড়াতাড়ি বিল্বগ্রামে যাওয়া যায়। কিন্তু বর্ষায় ওই সেতু ডুবে গেলে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয়। স্থানীয়রা জানান, বিল্বগ্রাম সহ একাধিক গ্রামের বাসিন্দারা গলসি বাজারের উপর নির্ভর করেন। ওদিক থেকে অনেক পড়ুয়া গলসি কলেজে পড়তে আসেন। কিন্তু বর্ষায় কাঠের সেতুতে জল উঠে যায়। ফলে পারাপার বন্ধ হয়ে যায়। পড়ুয়া সহ সকলকে অসুবিধার মুখে পড়তে হয়। গলসির প্রশান্ত বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, প্রতিবার কালীপুজোর সময় ওই কাঠের সেতু দিয়ে তকিপুরে পুজো দিতে যাই। ওই সেতুর অবস্থা ভালো নয়। স্থায়ী সেতু হলে দুই পাড়ের মানুষেরই উপকার হবে। স্থানীয়রা জানান, আগে টিনের ডিঙিতে খড়ি নদী পারাপার চলত। পরে কাঠের সেতু তৈরি হয়। তকিপুরের বাসিন্দা অনুপম রায় বলেন, ওই কাঠের সেতু দিয়ে সহজে গলসি গিয়ে আসানসোলগামী ট্রেন ধরতে সুবিধা হয়। ১৯নম্বর জাতীয় সড়কে যাওয়া যায়। এছাড়া মোটরভ্যান, ম্যাটাডরের মতো গাড়িও যাতায়াত করার ফলে এলাকার ব্যবসায়ীদের সুবিধা হয়। স্থানীয় বাসিন্দা শেখ জয় বলেন, বর্ষায় অস্থায়ী সেতু জলের তলায় চলে গেলে এলাকার বাসিন্দাদের দিগনগর, সর হয়ে প্রায় ১০কিলোমিটার বেশি ঘুরে গলসি আসতে হয়। 

    স্থায়ী সেতু হলে এলাকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের আশা পূরণ হবে। তবে স্থানীয়দের একাংশ অভিযোগ করে বলেন, অনেকবারই মাপজোক হয়েছে। স্থায়ী সেতুর প্রতিশ্রুতিও মিলেছে। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। কোনও এক অজ্ঞাত কারণে সেতু হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে গলসি-২ পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি হেমন্ত পাল বলেন, স্থায়ী সেতুর জন্য পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ থেকে পরিদর্শন হয়েছে। আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার বলেন, ওখানে স্থায়ী সেতু হলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি হবে। বিভিন্ন দপ্তরে অনেকবার জানিয়েছি।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)