• কংগ্রেস নেতা খুনে কি সুপারি কিলার?
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, মানিকচক: মানিকচকের ধরমপুর বাজারে কংগ্রেস নেতা শেখ সইফুদ্দিনকে খুনের একদিন পরেও এলাকা থমথমে। পাঁচ জায়গায় ক্যাম্প করেছে পুলিস। টহল দিচ্ছে দুটি গাড়ি। ছিলেন ডিএসপি হেডকোয়ার্টার, মানিকচক থানার আইসি। 

    এদিকে এই অবস্থায় সামনে আসছে সুপারি কিলার দিয়ে খুন করার তত্ত্ব। পুলিস সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের দুষ্কৃতীরা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকতেও পারে। মানিকচক ব্লক কংগ্রেসের সভাপতি মতিউর রহমানও একই অভিযোগ করছেন। তাঁর কথায়, যেভাবে ছক কষে হামলা করা হয়েছে, তাতে ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতী যোগ থাকতে পারে। সইফুদ্দিনকে একেবারে নিখুঁতভাবে বোমা ও গুলি ছুড়ে মারা হয়েছে। ঘটনার পর দুষ্কৃতীরা পার্শ্ববর্তী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে পালিয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

    ইতিমধ্যে নাসির সহ ১০ জনের নামে লিখিত অভিযোগ করেছেন সইফুদ্দিনের ছেলে মহম্মদ রুবেল। কিন্তু সোমবার পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেপ্তার করতে পারেনি মানিকচক থানার পুলিস। প্রতিবাদে থানা ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ও প্রাক্তন বিধায়ক মোস্তাকিন আলম। তিনি বলেন, অভিযোগে এক নম্বরে আছে নাসিরের নাম। অথচ ২৪ ঘণ্টা পরেও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। পুলিস প্রশাসনকে ৭২ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। কেউ গ্রেপ্তার না হলে থানা ঘেরাও করে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হব। 

    যদিও এ প্রসঙ্গে পুলিস প্রশাসনের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। পুলিস সুপার প্রদী কুমার যাদবের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। মেসেজেরও উত্তর পাওয়া যায়নি।

    রবিবার সাতসকালে ধরমপুর বাজারে গিয়েছিলেন কংগ্রেসের প্রভাবশালী নেতা সইফুদ্দিন। সেখানে তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা এবং গুলি ছোড়া হলে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় সইফুদ্দিনের। মৃতদেহ রাস্তায় রেখে চলে বিক্ষোভ, পথ অবরোধ। পরবর্তীতে জেলা পুলিস আধিকারিক দোষীদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এখনও উত্তেজনা রয়েছে জেশারতটোলা এলাকায়। তদন্তে নেমে সোমবার সকাল থেকেই তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করতে মরিয়া চেষ্টা করে পুলিস। ঘটনাস্থলে থাকা ব্যক্তি সহ পার্শ্ববর্তী বাসিন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে ঘটনাস্থলে থাকা সিসি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করা যায়নি।

    রুবেল বলেন, নাসিরের দলবল এই ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রত্যেকের মুখ কাপড়ে ঢাকা ছিল। তারা বোমা ও গুলি চালিয়ে বাবার অফিসের পাশ দিয়ে পালিয়ে যায়। রবিবারই নাসির দাবি করেছিলেন, তিনি মালদহের বাইরে রয়েছেন। এই ঘটনার সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নন।  ঘটনাস্থলে পুলিসের টহল। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)