• পিকাসোর গুয়ের্নিকা ছবির আদলে জলপাইগুড়িতে হচ্ছে কাঠের দুর্গা প্রতিমা
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: পাবলো পিকাসোর বিখ্যাত গুয়ের্নিকা ছবির আদলে জলপাইগুড়িতে তৈরি হচ্ছে কাঠের দুর্গা। ১৯৩৭ সালে এক অস্থির সময়ে আঁকা পাবলোর ওই সাদা-কালো ছবি সাড়া ফেলেছিল বিশ্বজুড়ে। এবার ভারতীয় শিল্পের সঙ্গে পিকাসোর ঘরানাকে যুক্ত করে দুর্গা মূর্তিতে ফিউশন আনতে নিজের স্টুডিওয় দিনরাত সৃষ্টিতে মগ্ন শিল্পী বিশ্বজিৎ ঘোষ। এর আগেও বিশ্বজিতের শিল্পকর্ম সমাদৃত হয়েছে জলপাইগুড়িতে। কিন্তু দুর্গাপুজোয় এমন কাজ গোটা উত্তরবঙ্গে আগে কখনও হয়নি, দাবি শিল্পীর।

    জলপাইগুড়ির পুরাতন পান্ডাপাড়ায় নিজের স্টুডিওয় টুকরো টুকরো কাঠ জুড়ে মা দুর্গার অবয়ব ফুটিয়ে তুলছেন শিল্পী। তবে আর পাঁচটা প্রতিমার চেয়ে এটি অনেকটাই আলাদা। বিশ্বজিতের কথায়, পিকাসোর গুয়ের্নিকা ছবিটি খুব ভালোভাবে দেখলে অনেকটা মা দুর্গার আদল পাওয়া যায়। সেই অবজেক্টকে সামনে রেখে, সঙ্গে জ্যামিতিক ফর্ম যোগ করে এবং ভারতীয় শিল্পধারার সংযোজন ঘটিয়ে দুর্গা মূর্তি তৈরি করছি। মূলত কাঠের কাজ। তার সঙ্গে কিছুটা মাটির প্রলেপ থাকবে। প্রতিমার রং হবে সাদা-কালো। আসলে এটা একটা ফিউশন। শিল্পীর দাবি, পিকাসো গুয়ের্নিকা ছবিটি এঁকেছিলেন একটি বিশেষ সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে। আমিও আমার কাজে সময়কে ধরার চেষ্টা করেছি। প্রতিমাটি জলপাইগুড়ি শহরে যে পুজো কমিটির মণ্ডপে থাকবে, তাদেরও থিম ‘সময়-দ্য টাইম’।

    মূলত সময়ের যন্ত্রণার মাঝেই শান্তির বার্তা দেবে বিশ্বজিতের দুর্গা। শিল্পীর কথায়, মা দুর্গা এক হাতে যেমন অসুর বধ করছেন, তেমনই শরতের আবেশে দুর্গার চারটি হাতে বিকশিত হচ্ছে ফুলের কুঁড়ি। সরস্বতীর আদল অনেকটা মীরাবাঈয়ের মতো। লক্ষ্মীর মাথার উপর আলোর ছটা। গুয়ের্নিকা ছবিতে আলোর ছটা ছিল। এখানেও সেই অবজেক্ট রাখছেন বিশ্বজিৎ। থাকছে খণ্ডিত হাত। সিংহের পায়ের নীচে পড়ে রয়েছে বিনাশ হওয়া অশুভ শক্তি।

    জলপাইগুড়ির শিল্পী বিশ্বজিতের শিল্পকর্মের বরাত এসেছে প্যারিস থেকে। চলছে কাজ। শিকারপুরে দেবী চৌধুরানি ও ভবানী পাঠকের যে নতুন মূর্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে, সেটিও বিশ্বজিতের হাতে তৈরি। • পিকাসোর অমর সৃষ্টি গুয়ের্নিকা।
  • Link to this news (বর্তমান)