• বাম আমল থেকে দাবি উঠলেও সাহাজের ঘাটে সেতু হল না আজও
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, দেওয়ানহাট: মাতালহাটের বুড়া ধরলা নদীতে সাহাজের ঘাটে সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি অতীতে একাধিকবার মিলেছে। কিন্তু, আজও সেতু হল না। ফলে সাহাজের ঘাট দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় চেপে পারাপার করতে হচ্ছে কয়েক হাজার বাসিন্দাকে। বর্ষায় নদীর জলস্ফীতিতে প্রতিপদে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে, দাবি নদীর দুই পারের হাজার কয়েক বাসিন্দার। 

    এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাম আমল থেকে এখনও পর্যন্ত প্রতিবার ভোটের আগে নেতারা এসে বুড়া ধরলা নদীর সাহাজের ঘাটে সেতু তৈরির আশ্বাস দিয়ে যান। সাহাজেরঘাট দিয়ে পারাপার করে মাতালহাট গ্রাম পঞ্চায়েতের ভল্কা, শ্যাম সিং, বাইশগুড়ি, বক্সিরহাট, চাউলের কুঠি, পাখিহাগা, বক্সিরহাট, ব্রহ্মত্তর, ভূতকুরা গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা। নদীর উল্টোদিকে আছে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, হাইস্কুল, ব্যাঙ্ক, স্বাস্থ্যকেন্দ্র। প্রতিদিন ওসব জায়গায় ঝুঁকি নিয়ে নৌকা করে পারাপার করতে হয় গ্রামবাসীদের। অতীতে সাহাজের ঘাটে ভরা বর্ষায় নদী পারাপার হতে গিয়ে নৌকাডুবিতে এক স্কুল ছাত্রের মৃত্যুও হয়েছিল। ওই ঘটনার পর উত্তেজিত বাসিন্দারা পঞ্চায়েত অফিসে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল। তারপর নেতা-মন্ত্রী এসে সেতু তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু, প্রতিশ্রুতি পালিত হয়নি। 

    স্থানীয় বাসিন্দা রেখা দাস, নিরঞ্জন বর্মন বলেন, নদীর ওপারেই গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, হাইস্কুল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, ব্যাঙ্ক, বাজার সব কিছুই। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্কুলে যেতে হয় হাইস্কুলের পড়ুয়াদের। নদী পেরিয়ে মাতালহাটে বাজার, হাটে যেতে হয়। সেতু না থাকায় কৃষকরা তাঁদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য বেশি টাকা খরচ করে গাড়িতে করে ঘুরপথে বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে যান। আমরা চাই সেতু হোক। 

    কোচবিহারের এমপি তথা এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, মাতালহাটের সাহাজের ঘাটে সেতু তৈরির নির্মাণসামগ্রী সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বছর চারেক আগে। কিন্তু, ওই সময় কোভিডের কারণে লকডাউন হয়। ঠিকাদার পরবর্তীতে নির্মাণ সামগ্রী তুলে নিয়ে যায়। সেতু নির্মাণের জন্য নতুন করে ডিপিআর বানানো হয়েছে শুনেছি। কী অবস্থায় আছে খোঁজ নিয়ে দেখব।
  • Link to this news (বর্তমান)