• ট্রেনে রায়গঞ্জ থেকে বিশ্বকর্মা গেল বিহারে
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: কারিগর সেভাবে না থাকায় দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার মূর্তি সংগ্রহে বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকার বড় ভরসা রায়গঞ্জ। আর তাই রায়গঞ্জের মোহনবাটি বাজার থেকে বছর বছর বিশ্বকর্মার মূর্তি পাড়ি দেয় বিহারের বারসই, শালমারি, সনৌলি এলাকায়। এবারও তার অন্যথা হল না। আর এতেই বাড়তি রোজগারের সুযোগ পেয়ে খুশি রায়গঞ্জের মৃৎশিল্পীরা। 

    রায়গঞ্জের প্রবীণ মৃৎশিল্পীদের দাবি, উত্তর দিনাজপুর তথা রায়গঞ্জ লাগোয়া বিহারের অংশে সে অর্থে মৃৎশিল্পী নেই। যার কারণে বিহারের লোকজন বিশ্বকর্মা পুজোর আগে এ শহরে ছুটে আসেন। মূর্তি কেনেন। আবার ট্রেনে চেপে ফিরে যান। শহরের কাঞ্চনপল্লির প্রবীণ মৃৎশিল্পী ভানু পাল বলেন, বিহারে  মৃৎশিল্পী না থাকায় বহু বছর ধরেই বিহারের লোকজন রায়গঞ্জের উপর নির্ভরশীল। এখনও সেই ধারা অব্যাহত। বিহারের অনেকে ট্রেনে চেপে সকালে রায়গঞ্জে আসেন। প্রতিমা কেনেন। আবার দুপুরের ট্রেনে চেপে মূর্তি নিয়ে ফিরে যান। যাঁরা বিশ্বকর্মার বড় মূর্তি গড়েন, তাঁরা এখান থেকেই শিল্পীরা প্রতিবেশী রাজ্য বিহারে যান। মূর্তি গড়ে দিয়ে আসেন। ভানুর কথায়, আমিও একসময় বিহারে গিয়ে মূর্তি তৈরি করে দিয়ে এসেছি। এখন আর বয়সের ভারে যেতে পারি না। কিন্তু বাহিন, কাঞ্চনপল্লি, সুভাষগঞ্জের মৃৎশিল্পীরা যান। তাঁরা কাজ করে দিয়ে আসেন। সোমবার মোহনবাটি বাজারে আগত বিহারের শালমারির বাসিন্দা বিনয় কুমার বলেন, বিহারে আমার মিল আছে। সেখানে বিশ্বকর্মার পুজো হয়। প্রতিবার আমি রায়গঞ্জে আসি বিশ্বকর্মার মূর্তি কিনতে। বারসইয়ের বাসিন্দা পেশায় টোটোচালক প্রভাসকুমার পান্ডে, দীপঙ্কর কুমার রায়রা বলেন, পুজোর আগের দিন সকালে রাধিকাপুরগামী ট্রেনে চেপে আমরা এখানে আসি। আবার ওইদিন দুপুরেই কেনাকাটা সেরে কাটিহারগামী ট্রেনে চেপে ফিরে যাই। এবারও এসেছি। ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি সত্ত্বেও এতদূর থেকে আমরা মূর্তি নিয়ে যাই। কারণ বিহারে মৃৎশিল্পী নেই। একই মত সনৌলির বাসিন্দা বলরাম মিস্ত্রিরও। মোহনবাটি বাজার এলাকার প্রতিমা বিক্রেতা বাবু পাল বলেন, আমি সুভাষগঞ্জের বাসিন্দা। মোহনবাটি এলাকায় আসি মূর্তি বিক্রি করতে। এখানে স্থানীয়দের পাশাপাশি বিহারের ক্রেতারাও আসেন মূর্তি নিতে। 
  • Link to this news (বর্তমান)