• ৩ মাস পর খুলল বক্সা-জলদাপাড়া, জঙ্গল সাফারিতে প্রথম দিনই ভিড়
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: তিন মাস বন্ধ থাকার পর সোমবার থেকে খুলে গেল জঙ্গল। আর এই নতুন পর্যটন মরশুমের প্রথম দিনই জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ও বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে পর্যটকদের ভিড় উপচে পড়ল। এদিন জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের মাদারিহাট, চিলাপাতা, কোদালবস্তি ও শালকুমারে-২ নম্বর গেট সর্বত্রই দেশ-বিদেশের পর্যটকদের ফুলের তোড়া এবং মিষ্টিমুখ করিয়ে স্বাগত জানান বিভিন্ন রেঞ্জের কর্মীরা। বনদপ্তরের এই অভ্যর্থনায় খুশি পর্যটকরাও। 

    এবার পর্যটন মরশুমে ডুয়ার্সে সাফারির জন্য রয়েছে মোট ন’টি হাতি। একটি হাতি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় সেটিকে ব্যবহার করা হবে না। জলদাপাড়ায় শালকুমার গেট থেকে দু’টি হাতি, গোরুমারার ধূপঝোরায় দু’টি হাতি সাফারির জন্য থাকছে। জলদাপাড়ায় সাফারির পাঁচটি হাতি থাকলেও একটি ছুটিতে আছে। ফলে সেখানে চারটি হাতির পিঠে সাফারি করা যাবে। চিলাপাতায় এনইসি ওয়াচ টাওয়ার থেকে সাফারির জন্য একটি হাতি পাওয়া যাচ্ছে। 

    এদিকে, কার সাফারির রুটও বাড়ানো হয়েছে। জাতীয় উদ্যানের জঙ্গলে আগে কার সাফারির রুট ছিল ১৫০ কিমি। এবছর কার সাফারিতে আরও ৩২ কিমি রুট বাড়ানো হয়েছে। জলদাপাড়ায় কার সাফারির জন্য ৪৬টি জিপসি ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে, বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের রাজাভাতখাওয়ায় দু’টি ও জয়ন্তীতে আটটি জিপসিকে কার সাফারির কাজে লাগানো হয়েছে। 

    তবে পর্যটন মরশুমের প্রথম দিন পর্যটক টানার দৌড়ে বক্সাকে টেক্কা দিয়েছে জলদাপাড়া। জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের ডিএফও প্রবীণ কাসোয়ান বলেন, প্রথম দিনেই পর্যটকদের ভিড় দেখে আমরা অভিভূত। পুজো যত কাছে আসবে এই ভিড় তত বাড়বে বলেই আমাদের মনে হচ্ছে। 

    বনদপ্তর জানিয়েছে, প্রথম দিনেই জাতীয় উদ্যানে হাতি সাফারি করেছেন ৪২ জন পর্যটক। অন্যদিকে, কার সাফারি করেছেন ২৭৫ জন। এদিন চিলাপাতায় বন্ধুদের নিয়ে কার সাফারিতে এসেছিলেন কলকাতার নিউ টাউনের বাসিন্দা তুফান অধিকারী। তিনি বলেন, শুনেছি কার সাফারিতে প্রচণ্ড ভিড় হয়। তাই ভিড় এড়াতেই ছয় বন্ধু মিলে প্রথম দিনেই এলাম। এদিন ভিড় দেখে অবাক হয়েছি। তুফানবাবুর বন্ধু মনোজ দাস ও বিবেক কুমার বলেন, বনদপ্তরের ফুলের তোড়া ও মিষ্টিমুখ করিয়ে আমাদের স্বাগত জানানোয় আমরা আপ্লুত। 

    তবে এদিন দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র বক্সার রাজাভাতখাওয়া ও জয়ন্তীতে পর্যটকের সংখ্যা কিন্তু জলদাপাড়ার তুলনায় অনেকটাই কম ছিল। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর প্রথম কারণ বক্সায় হাতি সাফারি হয় না। তাছাড়া জয়ন্তী বনবস্তির বাসিন্দাদের এখনও পুনর্বাসন হয়নি। পর্যটক মহলে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে যে জয়ন্তীতে ঢোকা যাবে না। জয়ন্তী বনবস্তিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের পশ্চিম ডিভিশনের উপক্ষেত্র অধিকর্তা হরিকৃষ্ণান পি জে বলেন, এই বিভ্রান্তি ঠিক নয়। জয়ন্তীতে অবশ্যই পর্যটকরা আসতে পারবেন। প্রথম দিন বলে জয়ন্তী, রাজাভাতখাওয়ায় ভিড় একটু কম। বক্সাতেও ভিড় বাড়বে। 
  • Link to this news (বর্তমান)