নিজস্ব প্রতিনিধি, বরানগর: দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের বৈঠক হয়েছে। তার আগে নির্যাতিতা চিকিৎসকের বাবা ও মা সোদপুরে তাঁদের বাড়ির সামনে বলেন, প্রত্যেকের শুভবুদ্ধির উদয় হোক। দুই পক্ষের মধ্যে যে স্নায়ুযুদ্ধ চলছে, তা শেষ হোক। আলোচনার মাধ্যমে এই সমস্যার সমাধান হোক। ছাত্রছাত্রীদের দিনের পর দিন রাস্তায় বসে থাকার দৃশ্য আমাদের কষ্ট দিচ্ছে। তাঁদের দাবি মেনে নেওয়া হোক। এদিন তাঁরা সুপ্রিম কোর্ট ও সিবিআইয়ের উপর ভরসা রেখে বলেন, আশা করি আমরা ন্যায়বিচার পাব। তবে তথ্যপ্রমাণ লোপাট কাণ্ডে টালা থানার ওসি গ্রেপ্তারের ঘটনায় এদিন তাঁরা অভিযোগ করেন যে, আমরা মেয়ের দেহ সংরক্ষণ করতে চেয়েছিলাম। দেহ সৎকার করব না বলে জানিয়েছিলাম। কিন্তু, পুলিস তা হতে দেয়নি। পুলিস আধিকারিকরা চেয়েছিলেন যেন আমার মেয়ের দেহ তাড়াতাড়ি পোড়ানো হয়। আমাদের উপর চরম মানসিক অত্যাচার করেছিল টালা থানার পুলিস। সেই চাপের মুখে শেষ পর্যন্ত নতিস্বীকার করতে হয় । কারণ, প্রায় ২০০-৩০০ পুলিসকর্মী র বাড়ি ঘিরে রেখেছিল। রক্ষকই যদি ভক্ষক হয়, তাহলে কিছু করার থাকে না। যদিও পুলিস ও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনার দিন পুলিস মৃতদেহ নিয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়িয়েছিল।