• টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে চাহিদা বেড়েছে মাছ ধরার জাল, ঘুনির
    বর্তমান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, বনগাঁ: গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন গোটা এলাকা। নদী-নালা, খাল-বিল উপচে গিয়েছে। মাঠ-ঘাট জল থইথই। এমতাবস্থায় খাল-বিল থেকে মাছ ধরার ঝোঁক বেড়েছে। নদীতেও মাছের আশায় নেমে পড়েছেন জেলেরা। মাছ ধরার প্রবণতা বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে মাছ ধরার জালের চাহিদাও। সঙ্গে সঙ্গে দামও বেড়েছে জালের। জালের সঙ্গে চাহিদা বেড়েছে মাছ ধরার ঘুনির (বাঁশের তৈরি মাছ ধরার বিশেষ খাঁচা)।

    নদী বা পুকুরে বা বড় জলাশয়ে খ্যাপলা জালের সাহায্যে মাছ ধরা হলেও মাঠে-ঘাটে বা খালে-বিলে কাঠি জালের সাহায্যে মাছ ধরা হয়। এদিন বনগাঁ হাটে একাধিক জালের দোকানে গিয়ে দেখা গেল, যথেষ্ট ভিড় রয়েছে ক্রেতাদের। বনগাঁ মণিগ্রাম থেকে জাল কিনতে এসেছিলেন তুষার বিশ্বাস। তিনি বলেন, কয়েকদিনের বৃষ্টিতে মাঠে-ঘাটে মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে। কাঠি জাল সারা রাত পেতে রাখলে সকালে তাতে অনেক মাছ ধরা পড়ছে। অনেকেই মাঠ-ঘাট বা খাল-বিলে মাছ ধরছেন। এদিন কাঠি জাল কিনতে এসেছিলেন পলাশ হালদারও। তিনি বলেন, নদীতে জল বেড়েছে। এখন সারা রাত নদীতে জাল পেতে রাখলে সকালে খাওয়ার মাছ হয়ে যাচ্ছে। বাড়তি মাছ বিক্রিও হচ্ছে।

    জাল ব্যবসায়ী মৃন্ময় পাল বলেন, বৃষ্টির কারণে জালের চাহিদা অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে কাঠি জালের চাহিদা বেড়েছে। এই সুযোগে পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম কিছুটা বাড়ানোয় জালের দাম বেড়েছে। আগে যে জাল ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হতো, সেগুলি এখন ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে মাছ ধরার দেশি জালের সঙ্গে চায়না জালের চাহিদাও বেড়েছে। জালের সঙ্গে  ঘুনির চাহিদাও অনেকটাই বেড়েছে। এদিন বনগাঁর বাজারে ২৬০ থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে ঘুনি। এক ঘুনি বিক্রেতা বলেন, এতদিন সেভাবে চাহিদা ছিল না। কয়েকদিনের বৃষ্টিতে এক ধাক্কায় চাহিদা অনেকটা বেড়েছে। -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)