ইস্তফা তৃণমূল মুখপত্রের সম্পাদক সুখেন্দুশেখর রায়ের
এই সময় | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’-র সম্পাদকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন সুখেন্দুশেখর রায়। আরজি করের ঘটনা সামনে আসার পর থেকেই একাধিক মন্তব্য করেছিলেন তিনি। তার জেরে রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়তে হয় রাজ্যের শাসক দলকে।সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর পোস্টগুলিকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছিল রাজনৈতিক মহলে। এ বার তাঁর তৃণমূলের মুখপত্রের সম্পাদক পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া খুব তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সুখেন্দুশেখর রায় জানিয়েছেন, সোমবার সন্ধ্যায় তিনি পদত্যাগ পত্র পাঠান। তাঁর এই পদত্যাগ পত্র গ্রহণ করা হয়েছে কি না, তা জানা যায়নি।
সুখেন্দুশেখরের এই পদক্ষেপ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে রাজি নন তৃণমূলের মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। সোমবার রাতে দু'টি উল্লেখযোগ্য পোস্ট এক্স হ্যান্ডলে শেয়ার করেন সুখেন্দুশেখর। আন্দোলনকারী চিকিৎসক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকের প্রেক্ষিত টেনে তিনি বলেন, 'আমার দু’টি দাবি ছিল। আরজি কর হাসপাতালের দুই প্রধানকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ এবং কলকাতার পুলিশের আধিকারিকদের জেরা। জুনিয়র ডাক্তার এবং মানুষের আন্দোলনে সেই দাবি বাস্তবায়িত হয়েছে। সত্যমেব জয়তে। আমি সকলের মতো খুশি।' এরপর ‘সত্যমেব জয়তে’ লিখে একটি পোস্ট শেয়ার করেন।
উল্লেখ্য, আরজি করের ঘটনা নিয়ে একের পর এক ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেছেন সুখেন্দুশেখর। আরজি কর প্রসঙ্গে তিনি বলেছিলেন, 'আমার ৫৮ বছরের রাজনৈতিক জীবনে মানুষের এই ধরনের প্রতিবাদ আগে দেখিনি। আমার বিবেককে তা নাড়া দিয়েছে। আমি অসামাজিক জীব নই। সমাজে কোনও ঘটনা ঘটলে আমি চোখ বন্ধ করে থাকব?'
লালবাজারকে বিঁধে সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডলে একটি পোস্ট করার জন্য সুখেন্দুশেখরকে নোটিসও ধরিয়েছিল লালবাজার। তবে হাজিরা এড়িয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। এক্স হ্যান্ডল থেকে বিতর্কিত সেই পোস্ট ডিলিট করে দিয়েছিলেন এই বর্ষীয়ান সাংসদ। এরপর লালবাজার হাইকোর্টে জানিয়েছিল সুখেন্দুশেখরের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।