আরজি কর-এর জের? শুধু কলকাতার CP-ই নন, পুলিশে একাধিক রদবদল, কে কোন পদে, রইল
আজ তক | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) পর কলকাতা পুলিশে বড়সড় (Kolkata Police) রদবদল। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, পুলিশ কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে বিনীত গোয়েলকে (Vinit Goyal)। জুনিয়র ডাক্তারদের ৫ দফা দাবির মধ্যে এটি ছিল অন্যতম দাবি। সেই মতোই আজ অর্থাত্ মঙ্গলবার পদক্ষেপ করলেন পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
একাধিক পদে রদবদল করা হল
কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনার পদে আনা হল IPS অফিসার মনোজ ভার্মাকে। এছাড়াও একাধিক পদে রদবদল করা হল। বড় দায়িত্ব দেওয়া হল আইপিএস জাভেদ শামিমকেও। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক, কাকে কোন পদ দেওয়া হল।
কাকে কোন পদ দেওয়া হল
-- কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদে ছিলেন বিনীত গোয়েল। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল। তিনি এবার পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ADG ও IGP।
-- বড় দায়িত্ব পেলেন আইপিএস অফিসার জ্ঞানবন্ত সিংও। তিনি ছিলেন ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্স-এর ডিরেক্টর। তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হল ইন্টেলিজেন্স ব্যুরো বা IB-তে। তিনি IB-র ADG IGP।
-- দুঁদে অফিসার হিসেবে খ্যাত আইপিএস জাভেদ শামিম ছিলেন IB-র ADG IGP। তাঁকে আনা হল ADG (আইনশৃঙ্খলা) পদে।
-- আইপিএস অফিসার ত্রিপুরা অর্থব ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্সের ADG & IGP। তিনি এবার জ্ঞানবন্ত সিংয়ের পদে। ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্স-এর ডিরেক্টর পদে ত্রিপুরা অর্থব।
-- অভিষেক গুপ্ত ছিলেন কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনের ডিসি। তাঁকে পাঠানো হল EFR সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নে CO হিসেবে।
-- শিলিগুড়ি থেকে আনা হল আইপিএস দীপক সরকারকে। তিনি ছিলেন শিলিগুড়ি থানার (পূর্ব) ডিসি। তিনি এবার দায়িত্ব পেলেন কলকাতা পুলিশের ডিসি নর্থ।
‘সব কথা মিনিটসে্ লেখা যায় না‘
সোমবার জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘সব কথা মিনিটসে্ লেখা যায় না। গোয়েল হয়তো সিপি থাকছেন না। নতুন সিপি আসবেন। চারটের মধ্যে তিনটে পয়েন্ট মেনে নিয়েছি। চতুর্থত, ওই দিন সিপি পৌঁছনোর আগে ডিসি (নর্থ) পৌঁছেছিলেন, তাঁকে নিয়ে কথা বলা হয়েছিল। এ ছাড়া স্বাস্থ্যক্ষেত্রে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে। এ টুকু বলছি, আলোচনা সদ্র্থক হয়েছে। আমি তা-ই মনে করি। ওঁরাও নিশ্চয়ই তাই মনে করেন। না-হলে মিনিটসে্ সই করবেন কেন? ওঁদের দাবিদাওয়াই বেশি মেনে নেওয়া হয়েছে। আমি বলেছি, আমার আবেদন। বলেছি, তোমরা কাজে যোগদান করো। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই অবস্থায় জুনিয়র ডাক্তারদের কাজে ফেরার কথা বলেছি।’