মঙ্গলবার কেতুগ্রামের আন্নাগ্রামে মাসির বাড়ি থেকে কাঁদরা ব্লক অফিসের এসেছিল জ্যোতি খাতুন নামে ওই ছাত্রী। ব্লকের কাজ শেষ করে মাসির সঙ্গেই বাসে চড়া আন্না গ্রামে ফিরছিল। সেই বাসেই আগে থেকে উঠে বসেছিল বাবু শেখ। সে বসেছিল একেবারে ছাত্রীর পেছনের সিটে। আচমকাই বাবু ছুরি বের করে জ্যোতির গলায় পেছন থেকে ছুরি চালিয়ে দেয়। সঙ্গে সঙ্গে গলার নলি দুফাঁক হয়ে যায়। বাসের সিট থেকে ড্রাইভারের কেবিনে লুটিয়ে পড়ে জ্যোতি। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
ছাত্রীর পরিবার সূত্রে খবর, ছাত্রীর বাড়ি কাটোয়ার হরিপুর গ্রামে। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা বাবু শেখ। সে কেরলায় কাজ করে। মাস ছয়েক আগে সে বাড়িতে ফেরে। তার পর থেকেই জ্যোতির পিছু নেয়। ক্রমাগত তাকে ফলো করতে থাকে। স্কুল, টিউশন যেখানেই জ্যোতি যেত সেখানেই চলে যেত বাবু। সম্প্রতি মাসির বাড়িতে এসেছিল জ্যোতি। সেখানেও সে পৌঁছে যায়। আজ যখন মাসির সঙ্গে জ্যোতি ব্লক অফিসে গিয়েছিল সেখানেও সে হাজির হয়। কিন্তু ফেরার পথে জ্যোতি কিংবা তার মাসি লক্ষ্য করেনি যে কখন বাবু তাদের পেছনের সিটে এসে বসেছে। কাঁদরা থেকে বাসটি যখন কোমরপুরের কাছে আসে তখনই বাবু জ্যোতির গলায় ছুরি চালিয়ে দেয়। এরপর সে বাস থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়।