সেই বাড়িতেই আজ সকাল ৮টা নাগাদ তল্লাশি অভিযানে ঢোকে ইডির আধিকারিকরা। ৫টি গাড়িতে করে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে নিয়ে আধিকারিকদের দলটি গেট বন্ধ থাকায় বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে। এরপর কেয়ারটেকারকে ডেকে এনে চাবি খুলে ভেতরে ঢোকে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সুদীপ্ত রায় তার বাংলোতে মাঝেমধ্যেই আসেন। ছুটির দিনে তাকে দেখা যায়। তার রাজনৈতিক সহকর্মীদেরও মাঝেমধ্যেই দেখা যেত এই বাংলোতে।
উল্লেখ্য, আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ। পরে তাকে তরুণী চিকিৎসকে ধর্ষণ ও খুনের মামলাতেও গ্রেফতার করে সিবিআই। সেই সন্দীপ ঘোষ ঘনিষ্ঠ সুদীপ্ত রায় আরজি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ছিলেন। যে রোগী কল্যাণ সমিতি কয়েকদিন আগেই ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর্থিক দুর্নীতিতে সুদীপ্ত রায়ের কি ভূমিকা রয়েছে, সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। মঙ্গলবার সকালে থেকে সিঁথির মোড়ে তার বাড়ি নার্সিংহোম হুগলির বাংলো-সহ মোট ছয়টি জায়গাতে তল্লাশি চলছে।
গত বৃহস্পতিবার সুদীপ্ত রায় সিঁথির মোড়ের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়েছিল সিবিআই। বিধায়কের জিজ্ঞাসাবাদ করেন আধিকারিকরা। সেই সূত্রেই হুগলির দাদপুর এর এই বাংলোর খোঁজ মেলে বলে জানা যায়। সুদীপ্ত রায়ের বাংলোয় মালির কাজ করতেন তরুন পাত্র। তাকে ডেকে জিজ্ঞোসাবাদ করে ইডি। তরুণ বাইরে বেরিয়ে বলেন, তিনি আড়াই বছর কাজ করেছিলেন। সে সময় দেখেছেন অনেকেই আসতেন বাংলোয়। খাওয়া দাওয়া হত রাত পর্যন্ত। সুদীপ্ত বাবুর স্ত্রীও আসতেন।
ইডি মঙ্গলবার মালিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করে কি কাজ করতেন, কতদিন কাজ করেছেন, কে কে আসতেন, কেমন ব্যবহার করতেন। নার্সিংহোম করার জন্য নন্দীদের থেকে এই জায়গায় কিনেছিলেন। পরে বাগানবাড়ি করেন। তরুণ বলেন, যদি কেউ অন্যায় করে তার শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।