আরজি কর বিতর্কে বিনীত কুমার গোয়েলের সঙ্গেই সরানো হয়েছে ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তাকে। তাঁকে সরিয়ে ইএফআর সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের সিও করা হয়েছে। ওদিকে শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের ডিসি ইস্ট থেকে সরিয়ে কলকাতা ডিসি নর্থের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দীপক সরকারকে। এর পাশাপাশি, এডিজি আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জাভেদ শামিমকে। এতদিন তিনি এডিজি আইবি ছিলেন। তাঁর জায়গায় এডিজি আইবি পদে এলেন জ্ঞানবন্ত সিং। তিনি ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্সের ডিরেক্টর পদে ছিলেন। ত্রিপুরারি আর্থবকে এসটিএফ-এর এডিজি পদ থেকে বদলি করে তাঁকে আনা হয়েছে ডিরেক্টরেট অফ ইকোনমিক অফেন্সের ডিরেক্টর পদে।
প্রসঙ্গত আরজি কর বিতর্কে গতকাল কালীঘাটে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের সঙ্গে জুনিয়র ডাক্তারদের বৈঠকের পরই, মুখ্যমন্ত্রী জানান যে কলকাতা পুলিস কমিশনারের পদ থেকে বিনীত গোয়েলকে সরানো হচ্ছে। একইসঙ্গে সরানো হচ্ছে ডিসি নর্থ অভিষেক গুপ্তাকেও। মমতা বলেন, 'বিনীত গোয়েল নাকি ওদের কাছে আগেই স্বীকার করেছিল, যেটা মিটিংয়ে বলল, আমি পদত্যাগ করতে চাই, তোমরা আমার উপর আস্থা রাখতে পারছ না। তোমাদের যেমন পরিবার পরিজন আছে, আমারও আছে। আমরা কথা বলি নিজেদের মধ্যে। সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আগামীকাল কাল চারটের পর আমরা কলকাতা পুলিসে বদল আনব। নতুন সিপিকে দায়িত্বভার বুঝিয়ে দেবেন বিনীত। যতক্ষণ পর্যন্ত না কোর্টে কেসটা সম্পূর্ণ হচ্ছে, তাই ৪টের পর আমরা সময় নিয়েছি। নতুন সিপি এবং আরও কিছু পুলিসে রদবদল করা হবে।"
বিনীত গোয়েলের অপসারণ প্রসঙ্গে গতকাল মুখ্যমন্ত্রী এও বলেছিলেন যে, তাঁকে কোনও অসম্মান করা হয়নি। তিনি যেখানে চান, সেখানেই তাঁকে পোস্টিং দেওয়া হবে। যা নিয়ে আবার প্রশ্ন তোলেন একাংশ। 'বরখাস্ত' করার বদলে সন্দীপ ঘোষের মতো এটাও 'প্রাইজ পোস্টিং' কিনা? সমালোচনায় সরব হন তাঁরা।