ধীমান রায়, কাটোয়া: দিনদুপুরে যাত্রীপূর্ণ চলন্ত বাসে ১৫ বছরের এক কিশোরীকে গলা কেটে খুন করলেন এক যুবক! বাসের অন্যান্য যাত্রীরা কিছু বোঝার আগেই বাস থেকে নেমে চলে গেল খুনি! হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামে। মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে কেতুগ্রামের কুমোরপুরের কাছে। পলাতক যুবকের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত কিশোরীর নাম আরসিদা খাতুন (১৫) ওরফে জ্যোতি। সে কাটোয়া থানার হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা। আরসিদা কাটোয়া ডিডিসি গার্লস হাইস্কুলের অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ছিল। দুদিন আগে কেতুগ্রামের আন্না গ্রামে মাসির বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। এদিন নিহতের মাসি শম্পা বিবি তাঁর পাঁচ বছরের ছেলে ও জ্যোতিকে নিয়ে বাসে কাঁদরা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন।
কুমোরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসটি ছেড়ে যেতেই একটি ইটভাটার সামনে ওই বাসে উঠে কালো প্যান্ট সাদা জামা পরিহিত এক যুবক। বাসের প্রথম গেটের পর দ্বিতীয় সিটে জানালার ধারে বসেছিল জ্যোতি। পাশেই ছেলেকে কোলে নিয়ে বসেছিলেন মাসি শম্পা। অভিযোগ, তাঁর সামনেই ছুরি বের করে কিশোরীর গলায় একাধিকবার কোপ মারেন যুবক।
শম্পা বিবির কথায়, “আমি বুঝতেই পারিনি জ্যোতিকে মারতে আসছে ওই ছেলেটা। ওকে থামানোর চেষ্টা করেও কোনও লাভ হয়নি। চোখের সামনে মেয়েটাকে মেরে চলে গেল।”
এদিন বিশ্বকর্মা পুজো। বাসে তুলনামূলক ভিড় কম ছিল। অন্যান্য যাত্রীরা কিছু বোঝার আগেই আততায়ী পিছনের গেট দিয়ে নেমে চলে যায়। শম্পার চিৎকার শুনে বাসচালক বাস থামিয়ে দেন। অন্যান্য যাত্রীরা দেখেন হামলাকারী মাঠ দিয়ে পালিয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। হামলাকারীর সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে। বাসটি আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে পুলিশের ধারনা এর পিছনে প্রেমঘটিত কারণ রয়েছে।