আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় আগেই সিবিআই-এর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল। এ বার টালা থানার অ্যাডিশনাল ওসি পল্লব বিশ্বাসকেও তলব করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। মঙ্গলবার আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে গিয়েছেন তিনি।টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডল এবং আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে সিজিও কমপ্লেক্সে দফায় দফায় জেরা করে সিবিআই। টালা থানা থেকে ৫ মিনিট দূরে আরজি কর হাসপাতাল। তা সত্ত্বেও কেন আরজি করে যেতে ১ ঘণ্টা সময় লাগল প্রাক্তন ওসির? তিনি কি কারও নির্দেশের অপেক্ষা করছিলেন? সূত্রের খবর, সিবিআই জেরায় এই প্রশ্নগুলি করা হলেও কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি অভিজিৎ।
ময়নাতদন্তের পরে ইউডি (আন ন্যাচারাল ডেথ) কেস লেখা হয় রাত ১১টা নাগাদ। কেন এই দেরি, তা জানতে চাওয়া হয় এই দুই জনের থেকে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পরস্পর বিরোধী তথ্য পেয়েছে সিবিআই। আর সেই কারণে থানার আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান গোয়েন্দারা। এই প্রেক্ষাপটে পল্লব বিশ্বাসকে তলব অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার শিয়ালদা আদালতে তোলা হয় অভিজিৎ মণ্ডলকে। তাঁকে ফের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে সিবিআই। আদালত প্রশ্ন করে, 'আরজি কর হাসপাতালে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় টালা থানার প্রাক্তন ওসি এবং প্রাক্তন অধ্যক্ষের কি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ যোগাযোগ পাওয়া গিয়েছে? গণধর্ষণের কোনও ঘটনা কি ঘটেছে?'
সিবিআই আদালতে জানায়, সন্দীপ ও অভিজিতের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। এই ঘটনায় তাঁদের কী ভূমিকা ছিল তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনও সেই তদন্ত শেষ হয়নি। তাঁদের ৩ দিন হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের আবেদন জানায় সিবিআই। আদালতের 'গণধর্ষণ' প্রশ্নে সিবিআই-এর জবাব, এখনও পর্যন্ত একজন অভিযুক্ত পাওয়া গিয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে।