• সরকারি মেডিক্যাল কলেজে চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষী কেন? প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
  • রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলির নিরাপত্তায় সিভিক ভলান্টিয়ারসহ যে কোনও চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগে আপত্তি জানাল সুপ্রিম কোর্ট। কেন এই হাসপাতালগুলির নিরাপত্তায় শুধুমাত্র স্থায়ী পুলিশকর্মীদের নিয়োগ করা হবে না তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। জবাবে রাজ্যের আইনজীবী জানান, রাজ্যের ৪৫টি হাসপাতালে রাতে মহিলা চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মীদের নিরাপত্তায় ৯১০ জন মহিলা পুলিশকর্মীকে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে।

    এদিন প্রধান বিচারপতি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে মোট মেডিক্যাল কলেজসহ ৪৫টি মেডিক্যাল কলেজ ও সহযোগী হাসপাতাল রয়েছে। এর মধ্যে ১৭টি হাসপাতাল রয়েছে কলকাতা পুলিশের এলাকায়। ১৮ বছর বয়সী মেয়েরা উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে এখানে পড়তে আসে। তারা তখনও বাচ্চারই মতো। তাদের বাবা - মায়ের উদ্বেগ নিরশন করা আমাদের কর্তব্য। তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কী করে চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করা যেতে পারে।

    রাজ্যের তরফে হলনামায় এদিন আদালতে জানানো হয়, মেডিক্যাল কলেজগুলিতে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। রাজ্যের হলফনামা দেখে প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট বলেন, কোনও সরকারি হাসপাতালে সিভিক ভলান্টিয়াররা যে কোনও জায়গায় ঘুরে বেড়াতে পারেন না। এরকমই একজন সিভিক ভলান্টিয়ার এই ঘটনায় অভিযুক্ত। তাদের দায়বদ্ধতা নিয়ে আদালতের মনে প্রশ্ন রয়েছে। চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষীও ভরসা করার মতো নয়। কেন মেডিক্যাল কলেজগুলিতে স্থায়ী পুলিশকর্মী নিয়োগ করছে না রাজ্য সরকার। জবাবে কপিল সিবাল বলেন, প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে। সেখানে স্থায়ী পুলিশকর্মীরাও। বাড়তি ব্যবস্থা হিসাবে চুক্তিভিত্তিক নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু তাতেও আশ্বস্ত হননি প্রধান বিচারপতি।

    এর পর কপিল সিবাল বলেন, রাতে মেডিক্যাল কলেজে মহিলা চিকিৎসক ও অন্য মহিলা কর্মীদের নিরাপত্তায় ৯১০ জন মহিলা পুলিশকর্মীকে নিয়ে বিশেষ বাহিনী তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। তাদের প্রশিক্ষণ চলছে পুলিশ ট্রেনিং স্কুলে। তারা দ্রুত কাজে যোগদান করবেন। তবে কতদিনের মধ্যে তাঁরা কাজে যোগদান করবেন তা জানাতে পারেননি তিনি।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)